অনলাইনে আয় করার উপায় গুলো নিয়ে সাধারন জনমনে নানা বিভ্রান্তি, ভয় ও আতংক কাজ করে। তাই অনলাইনে আয় করার ১২ উপায় নিয়ে আজকের এই পোষ্ট।
ঘরে বসে টাকা আয় করা এখন আর কোন কল্পকথা বা আষাঢ়ে গল্প নয়। অনলাইন ইনকাম করার উপায় গুলো সম্পর্কে জানার প্রয়োজন হলে আপনি সঠিক জায়গাতেই এসেছেন।
আজকের পোষ্টে অনলাইন থেকে টাকা ইনকাম এর নানা উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
ব্লগ লিখে টাকা ইনকাম করুন ঘরে বসেই
অনলাইনে ইনকাম
অনেকে তো বিশ্বাসই করতে চায় না যে আসলেই আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে টাকা আয় করা সম্ভব।
অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় গুলো নিয়ে সব ধরনের মানুষের মধ্যেই কিছু দ্বিধাদ্বন্দ্ব আর তরুনদের মধ্যে কিছুটা উত্তেজনা কাজ করে।
অনলাইনে আয় ২০২৩ সালের নতুন নতুন উপায় গুলো বিশ্লেষণ করে একথা বলা যায় যে, সামান্য কিছু দক্ষতা ও ধৈর্য ধারন করতে পারলে অবশ্যই অনলাইন থেকে ভালো পরিমানে আয় করা সম্ভব।
এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে কিভাবে টাকা আয় করা যায়
কিছু ক্ষেত্রে দক্ষতা বা অভিজ্ঞতারও প্রয়োজন হয় না। বিশেষ করে বলা যায়, ক্লিক করে বা শুধুমাত্র ভিডিও দেখে অনলাইন থেকে টাকা আয় করা যায়।
অনলাইনে ইনকাম করে বিকাশে পেমেন্ট পেলে কেমন হয়
অনেকে কোন ইনভেস্টমেন্ট ছাড়াই শুধুমাত্র কর্মদক্ষতা কে কাজে লাগিয়ে ঘরে বসে অনলাইন থেকে ইনকাম করে অনেক কিছু করে ফেলেছে।
আবার এমনও আছে যে অনলাইন থেকে ইনকাম এর সহজ উপায় খুজতে গিয়ে প্রতারনার শিকার হয়ে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এ বিষয়টা নিয়ে একটা সোজাসাপ্টা ধারনার জন্য আজকের এই পোস্টের অবতারণা। আশা করি শেষ পর্যন্ত সাথেই থাকবেন।
বাস্তব জগতের মতো অনলাইন ইনকাম এর সহজ উপায় আছে। এক্ষেত্রে অনলাইন একটা মাধ্যম। শুধু ইনকাম করার উৎস গুলো জানতে হবে।
এই মাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে অনলাইনে ইনকাম করার অনেক ক্ষেত্র আছে। আর দিনকে দিন ক্ষেত্রটা শুধু বড়ই হচ্ছে।যা ব্যাপ্তি ব্যাখ্যা করার অবকাশ রাখে না।
মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ইউটিউব ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা যায়
প্রযুক্তির উচ্চতর সাফল্যে মানুষের কর্মক্ষেত্র অনলাইন ভিত্তিক হতে শুরু করেছে।
মানুষ চাইলেই ঘরে বসেই অফিসিয়াল কাজকর্ম সারছে, শপিং করছে,ব্যাংকের টাকা লেনদেন করছে, মুভি দেখছে, আড্ডা মারছে।
আরোও কত কি করছে আর ভবিষ্যতে অনলাইনে বসে কত কি করা যাবে তা বলে শেষ করা যাবে না।
অনলাইন ইনকামের বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য সাইটগুলির বিবরন
অনলাইন থেকে ইনকাম করার বিভিন্ন সাইট গুলোর বিবরন
অনলাইনে আয় করার ১২ উপায়
এক কথায় বলা যায়, একবিংশ শতাব্দির অর্থনৈতিক কর্মকান্ডগুলো বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই সনাতনী পদ্ধতি ছেড়ে অনলাইন ভিত্তিক হয়ে পড়ছে।
অনলাইনে শুধু পন্য বিক্রিই নয়। আজকাল তো ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে দক্ষতা বিক্রি করাটা অতি মাত্রায় সহজ এবং জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
খুব সহজ ভাষায় উদাহরণ দিতে গেলে একজন অফিস কর্মকতা নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে উপস্থিত হয়ে নির্ধারিত সময় পর্যন্ত তার কাজ গুলো করেন।
আর সেই একই কাজ একজন ফ্রিল্যান্সার বাড়িতে বসে অনলাইনে করে দিচ্ছে। বিনিময়ে কাজের ধরন অনুযায়ী টাকা আয় করতে পারছে। এর কোন নির্দিষ্ট অফিস নেই, কোন অফিস টাইম নেই।
বায়ার বা কাজদাতা যেই হোক বা যেখানকার অধিবাসী হোক না কেন অনায়াসেই তার অফিসের অনেক কাজ ফ্রিল্যান্সার এর দ্বারা অনলাইনে করায়ে নিতে পারছে। কাজশেষে অনলাইনেই পারিশ্রমিক পরিশোধ করছে।
ইউটিউবে আয়ের পরিমান হিসাব
এটা তো ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্র জানলাম আসলে বর্তমানে অনলাইন থেকে আয় করার অনেক অনেক উপায় আছে। তাই আজ আমরা অনলাইনে আয় করার ১২ উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
তাছাড়া একবিংশ শতাব্দীর মার্কেটিং প্রায় ১২ আনা অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়বে এতে কোন সন্দেহ নেই।যার ফল কিছুটা প্রকাশমান।
প্রাসংগিক ভাবেই বলতে হয়, সাম্প্রতিক বিশ্ব পরিস্থিতিতে নতুন করে অনলাইন নিয়ে মানুষকে ভাবতে হচ্ছে।পরিস্থিতি মানুষকে ঘরে থাকতে বাধ্য করছে।
ইনস্টাগ্রাম থেকে কিভাবে টাকা আয় করবেন?
উদ্ভুত পরিস্থিতিতে মানুষ বাস্তব জগত ছেড়ে অনলাইন জগতের সাথে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে পড়তে বাধ্য হচ্ছে।অবশ্য সেটা কিছুটা বাধ্য হয়েই।
সেক্ষেত্রে অনলাইন ভিত্তিক অর্থনীতির সামনে সম্ভাবনার নতুন নতুন দ্বার উম্মোচিত হচ্ছে। সনাতনী পদ্ধতি ছেড়ে সবকিছুতেই প্রযুক্তির ছোয়া লাগছে।
একথা বলতে হয় অগ্রসরমান প্রযুক্তির ঢেউ গোটা বিশ্বকে বদলে দিতে পারলেও আমাদের দেশে অনেককিছুই বদলায়নি, যার ফলসরুপ আমরা এখনো পেপাল সুবিধা পাইনি, এখনো আমাদের ১ জিবি ডাটা কিনতে ৩০ বা তার বেশী টাকা খরচ করতে হয়।
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার সহজ উপায় গুলো জেনে নিন
জনবল, দক্ষতা ও যথেষ্ট সুযোগ থাকার পরও শুধুমাত্র প্রযুক্তি বান্ধব পরিবেশ না থাকায় আমাদের সবচেয়ে বড় বাধা।অনলাইনে বেচাকেনা, ডিজিটাল লেনদেন, ভার্চুয়াল অর্থনৈতিক ব্যবস্থা সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই।
সুতরাং আজকের আলোচনার মুল বিষয়বস্তুর দিকেই ফিরে যাই। আসুন জেনে নিই অনলাইনে আয় করার ১২ উপায়।
নতুনদের জন্য পূর্নাঙ্গ ফ্রিল্যান্সিং গাইডলাইন
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো জানতে চাইলে পড়ুন
অনলাইনে আয় করার ১২ উপায় এর তালিকা
এবার আমরা অনলাইনে আয় করার ১২ উপায় নিয়ে পর্যায়ক্রমিক আলোচনা করবো। যদিও অনলাইনে ইনকাম করার ভুড়ি ভুড়ি সাইট/পোর্টাল ব্যাঙ্গের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে।
দেখা যায় ভোর হতে না হতেই সাইট উধাও। এতো সব জালিয়াতির ভীড়ে আসল সাইট এবং অনলাইন থেকে ইনকাম করার সঠিক পদ্ধতি জেনে নেওয়া অত্যাবশ্যক।
নচেত প্রতারনা বা না বুঝে অযথা মূল্যবান সময় নষ্ট হতে পারে। বিশেষ করে বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে ইকমার্স প্রতারনার সংখ্যা আশংকাভাবে বেড়ে গেছে।
ফেসবুকে বসে লাইক শেয়ারের পাশাপাশি টাকা আয় করা যায়
লোভনীয় অফারের ফাদে পড়ে সাধারন ক্রেতারা প্রতারণার শিকার হচ্ছে। যার ফলে মানুষ অনলাইন থেকে মুখ গিরিয়ে নিচ্ছে।
তবে আজ আমি আপনাদের কোন পিটিসি সাইট থেকে আয় বা ভিডিও দেখে আয় করার কৌশল শেখাতে আসিনি।
আজ আমি অনলাইনে আয় করার ১২ উপায় নিয়ে বিস্তারিত কথা বলবো যেগুলো থেকে অনায়াসেই অনলাইন থেকে আয় করা সম্ভব। যেগুলোর নির্ভরযোগ্যতা বা বিশ্বস্ততার প্রশ্নে বিন্দুমাত্র সন্দেহ হওয়ার অবকাশ নেই।
যেমন বলি,আমি আজ আপনাদের বলবো গুগল বা ফেসবুক বা ইউটিউব থেকে অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় গুলো।
এখন আপনি নিজের মনে প্রশ্ন করে দেখুন উপরে উল্লেখিত টেক জায়ান্ট কোম্পানীগুলো থেকে টাকা ইনকাম করা কোন ঝুকির কাজ কি না?
এসব বিশ্বখ্যাত টেক কোম্পানি গুলোর এমন অনেক প্রোগ্রাম চালু আছে যেগুলো থেকে যে কেউ টাকা আয় করতে পারে।
যদি সঠিক পথে এগুতো পারেন তবে গুগল,ফেসবুক,ইউটিউবের মতো প্রতিষ্টানের কাছ থেকে আপনি ডলার ইনকাম করতে পারবেন।
এবার আসুন দেখে নেওয়া যাক অনলাইনে আয় করার ১২ উপায় গুলো, কি কি উপায়ে কোন কোন ওয়েবসাইট ব্যবহার করে অনলাইন থেকে ইনকাম করা যায়।
১. পন্য / সার্ভিস বিক্রি
২. ফ্রিল্যান্সিং
৩. ব্লগিং / এডসেন্স
৪. এফলিয়েট মার্কেটিং
৫. সার্ভে, রিভিউ
৬. পিটিসি সাইট
৭. ছবি বিক্রি করে অনলাইন ইনকাম
৮. অনলাইনে পড়িয়ে টাকা ইনকাম
৯. এপস ডেভলপমেন্ট
১০. ওয়েব ডিজাইন ও ডেভলপমেন্ট
১১. আর্টিকেল রাইটিং
১২. ডিজিটাল মার্কেটিং
এবং আরোও অনেক।
১. পন্য বিক্রির মাধ্যমে অনলাইনে আয়
অনলাইনে যদি আপনার একটি ইকমার্স উপযোগী ওয়েবসাইট থাকে। তবে তাৎক্ষণিক ভাবে পন্যের ছবি আপলোড করে অনলাইনে বিক্রি শুরু করে অনলাইনে আয় করতে পারবেন।
অনলাইনে আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে ইকমার্স সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক ব্যবসা। অনলাইনে পন্য বিক্রি করার সুযোগ মানে না লাগবে দোকান ঘর ,না লাগবে দোকান ঘরের ভাড়া।
ক্রেতা ক্রয়কৃত পন্যের মুল্য অনলাইনে পরিশোধ করতে পারবে এবং ডেলিভারি সিস্টেমের মাধ্যমে পন্য ক্রেতার হাতে তুলে দিয়ে মুল্য নিতে পারবে।
ইকমার্সের মাধ্যমে অনলাইনে আয়
শুধু অনলাইনে পন্য বিক্রি করে আমাজন এর মালিক আজ বিশ্বের সেরা ধনীদের একজন।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট একটূ ভিন্ন হলেও বিভিন্ন কারনে বিশ্বে অনলাইন কেনাকাটার বিষয়টা জনপ্রিয় হচ্ছে।
বিশেষ করে করোনা পরবর্তী বিশ্বে ঘরে বসে কেনাকাটা করার জন্য সর্বাত্মকভাবে উৎসাহিত করা হচ্ছে।অনলাইনে ইনকাম ২০২১ সালের সেরা উপায়গুলির মধ্যে অন্যতম হলো ইকমার্স।
২. ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনলাইনে আয়
খুব সহজ ভাবে বলতে গেলে, বাস্তব জগতের চাকুরীর মতো যোগ্যতা অনুযায়ী অনলাইনে চাকুরি পাওয়া যায়। কিছু ক্ষেত্রে তো পুরা ব্যাপারটাই ঘটে অনলাইন কেন্দ্রিক।
ঘরে বসেই কাজ পাওয়া, ঘরে বসেই কাজ করা এবং ঘরে বসেই পারিশ্রমিক পাওয়া। কত সহজ তাই না? আসলে এক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা ততটা গুরুত্ব না পেলেও কর্মদক্ষতা কে ১০০ ভাগ যাচাই করেই নেওয়া হয়।
আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং এর মাধ্যমে অনলাইনে আয়
এখানে কাজদাতা এবং ফ্রিল্যান্সার এর মধ্যে যোগসুত্র করে দেওয়ার জন্য অনেক মার্কেটপ্লেস আছে। যারা দুপক্ষের মধ্যে কাজ এবং আর্থিক লেনদেনের ব্যাপারে মধ্যস্থতা করে থাকে।
কাজ বলতে শুধু কাজ নয় অনেক অনেক ধরনের কাজ, যার কোন সীমারেখা নেই।
ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভলপমেন্ট, সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট, ডাটা সায়েন্স, মেশিন লার্নিং, ভার্চুয়াল পারসোনাল এসিস্টেন্ট, কল সেন্টার,অনুবাদ, অনলাইন কোর্সে শিক্ষাদান ইত্যাদি।
কাজদাতা আর কাজ গ্রহিতা উভয়ের মেলবন্ধনের জন্য আছে অনলাইন মার্কেটপ্লেস।
ফ্রিল্যান্সার গন মার্কেট প্লেস এ একাউন্ট করে তাদের পোর্টফোলিও দেখাবে। কাজ দাতার পছন্দ হলে চুক্তিভিত্তিক ফ্রিল্যান্সার হায়ার করবে।
চুক্তির টাকা মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সার এর হাতে পৌছাবে। অবশ্য মধ্যস্থতাকারী রা কিছু টাকা সার্ভিসচার্জ বাবদ কেটে রেখে ফ্রিল্যান্সার এর ব্যাংক একাউন্টে ঢুকে দিবে।
উপরোক্ত কাজগুলো করে একজন ফ্রি ল্যান্সার প্রতি ঘন্টায় ৫ থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারে। কাজের গুরত্ব অনুযায়ী সেটা আরোও বেশীও হতে পারে।
একটা কথা বলে রাখি,অনলাইনে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে সফলতা পাবার জন্য শিক্ষাগত যোগ্যতা খুব বেশী প্রভাব ফেলে না।
সামান্য কিছু টেকনিক্যাল জ্ঞান এবং নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতা থাকলে ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
তবে, শুরু করার জন্য অবশ্যই কোন একটা কাজের দক্ষতা থাকাটা জরুরী। সেজন্য ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইমেজ ইডিটিং বা এই জাতীয় সহজ একটা কাজকে বেছে নিতে পারেন।
যেগুলোর জন্য খুব একটা থিওরিটিক্যাল জ্ঞান প্রয়োজন হয় না, নূন্যতম অনুশীলন আর অধ্যবসায় পালনের মাধ্যমে যে কেউ দক্ষ হয়ে উঠতে পারে।
অনলাইনে আয় ২০২৪ এর বিশ্বস্ত মার্কেটপ্লেস
তবে আর একটা বিষয়ে নজর দিতে হবে সেটা হলো কমিউনিকেশন ক্যাপাবিলিটি। মার্কেট প্লেস এ কাজ খোজা, বায়ারের সাথে ড্রিল করতে এটা কাজে লাগবে।
মূলত মার্কেটপ্লেস গুলোতে অসংখ্যা ক্যাটাগরির কাজ পাওয়া যায়। ডাট এন্ট্রি থেকে শুরু করে ক্লিপিং প্যাথ ,গ্রাফিক্স ডিজাইন, গেমস ডেভলোপমেন্ট,ডিজিটাল মার্কেটিং, কল সেন্টার, ভার্চুয়াল এসিস্টেন্ট , মেশিন লার্নিং, এন্ড্রোয়েড এপস ডেভলোপমেন্ট, ওয়েব ডেভলপমেন্টসহ নানান ধরনের কাজ পাওয়া যায়।
সুন্দর একটা পোর্টফলিও এর মাধ্যমে একটা দুইটা কাজ শুরু করতে পারলে পরবর্তীতে আর কাজের অভাব হবে না।
আসলে কাজের ধরনভেদে মার্কেট প্লেস গুলো আলাদা হয়। একেকটি ওয়েবসাইট একেক ক্যাটাগরিতে পপুলার।
অনলাইনে আয়ের জনপ্রিয় কিছু মার্কেটপ্লেসের ওয়েবসাইট এর লিংকসহ তালিকা নিম্নে দেওয়া হলোঃ
১। ফ্রিল্যান্সার ডট কম
ওয়েবসাইট ডিজাইন,ডেভলোপমেন্ট,লগো ডিজাইন,রাইটিং এবং মার্কেটিং এর জন্য আদর্শ মার্কেট প্লেস হলো ফ্রিল্যান্সার ডট কম।
এটা খুব সহজ।এখানে শুধু আপনার পূর্বের করা কাজের নমুনা রেখে দিন,কাজের জন্য বিড করুন।দেখবেন আপনি কাজ পেয়ে গেছেন।
ফ্রিল্যান্সার ডট কম
visit site
২। ফাইভার ডট কম
এখানে প্রায় ২৫০ ক্যাটাগরির কাজ পাওয়া যায়।ফ্রিল্যান্সাররা এখানে কাজের বিপরীতে মূল্য অফার করে আর বায়াররা তাদের বাজেট অনুযায়ী ফ্রিল্যান্সার হায়ার করতে পারে।
ফাইভার ডট কম
visit site
৩। আপওয়ার্ক ডট কম
আপওয়ার্ক হলো দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোর মধ্যে একটি।প্রায় ১২ মিলিয়ন রেজিষ্টার্ড ফ্রিল্যান্সার আর প্রায় ৫ মিলিয়ন বায়ারের বিশাল এক মিলন মেলা।
আপওয়ার্ক ডট কম
visit site
৪। পিপল পার আওয়ার
১ মিলিয়ন ব্যবসা থেকে ফ্রিল্যান্সাররা এখান থেকে ১৩০ মিলিয়ন ডলার ইনকাম করে থাকে। পিপল পার আওয়ার একটি বিশাল এবং খুব ভালো মানের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস।অডিও,ভিডিও,ওয়েব ডেভলোপমেন্ট,মোবাইল ডেভলোপমেন্ট,ওয়েব ডিজাইন সহ অগনিত কাজ ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অপেক্ষা করে আছে।
পিপল পার আওয়ার
visit site
৩. এডসেন্স এর মাধ্যমে অনলাইনে আয়
নিজের একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সেটা তে পন্য বা সার্ভিস বিক্রি করা যায়। অথবা কনটেন্ট তৈরি করে জনপ্রিয়তা অর্জনের মাধ্যমে সাইট ভিজিটর দের বিজ্ঞাপন দেখানোর মাধ্যমে টাকা আয় করা যায়।
অনলাইনে আয় করার সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি উপায় হলো গুগল এডসেন্স। অন্য আরোও অনেক অনেক এড কোম্পানী আছে কিন্তু জনপ্রিয়তার দিক বিবেচনা করে গুগলের এডসেন্স সবার সেরা।
এডসেন্সের মাধ্যমে অনলাইনে আয়
খুব সহজ করে বলতে গেলে,সোশ্যাল মিডিয়া, গভর্নমেন্ট, ইকমার্স, বিজনেস, কর্পোরেট, ইডুকেশনাল, সফটওয়্যার/এপ্লিকেশন ভিত্তিক ওয়েবসাইট ছাড়াও অনলাইনে প্রচুর ক্যাটাগরির ওয়েবসাইট বা পোর্টাল আছে। যেগুলো নিজস্ব ব্যবপনায় চলছে।
আর কিছু ক্যাটাগরির ওয়েবসাইট আছে যেগুলো অনলাইন ভিজিটরের সংখা অনুযায়ী তৃতীয় পক্ষের বিজ্ঞাগন প্রচার করে অর্থ আয় করতে পারে।
অনলাইনে আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে ব্লগিং বা ইউটিউবিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা এখন একটা ট্রাডিশন হয়ে দাড়িয়েছে।
তাই বলে এই ক্ষেত্রে সবাই যে সফল হতে পেরেছে এমন নয়। এসব ক্ষেত্রে কিছু তাত্ত্বিক ও কিছু টেকনিক্যাল জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করার সহজ উপায়
এডসেন্স এর কার্যপদ্ধতি
ব্লগ,ফোরাম,গেমিং,ভিডিও শেয়ারিং,শিক্ষামুলক পোর্টাল, ওয়েব এপ্লিক্যাশন/টুলস/রিসোর্স/কোর্স সহ এজাতীয় অসংখ্যা সাইট অনলাইনে বিদ্যামান। যেগুলো কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন।
অথচ এদের বেশীর সাইট সরাসরি কোন অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করে না।কিন্তূ এগুলো কোন না কোন ভাবে বিশেষায়িত যার কারনে ভিজিটর রা নিজেদের প্রয়োজনে এই সাইটগুলো ভিজিট করে।
গুগল এডসেন্স এর মাধ্যমে টাকা আয়
ইউটিউব বা ওয়েবসাইটে এডসেন্স পাওয়ার উপায়
আর এই সুযোগ কে কাজে লাগিয়ে সাধারন ভিজিটরদের বিজ্ঞাপন প্রদর্শন করে অনলাইনে ইনকাম করা সম্ভব।
এইখানে আপনার কাজ হলো, যেকোন উপায়ে আপনার সাইটে ভিজিটর আনা, বাকী কাজটা করবে তৃতীয় পক্ষ।
তবে, প্রতিযোগিতার বাজারে একটা ওয়েবসাইটকে জনপ্রিয় করা বা কিওয়ার্ড রিসার্চ করে সার্চ ইঞ্জিন থেকে অর্গানিক ট্রাফিক আনা খুব একটা সহজও নয়। এক্ষেত্রে অবশ্যই কিছু থিওরিটিক্যাল জ্ঞান থাকা আবশ্যক।
আশার কথা হলো, এই ক্ষেত্রটাকে সাধারনের জন্য কিছুটা সহজ করে দিয়েছে ইউটিউব।
সাধারন ভিজিটররা কোন সমস্যার সমাধানে ভিডিও টিউটোরিয়াল গুলোকে প্রাধাণ্য দিচ্ছে বেশী, কারন ভিডিও তে দেখে দেখে শেখার সুযোগ থাকে।
অন্যদিকে লিখিত টিউটোরিয়াল গুলো বা প্রচলিত ব্লগিং এ কিছুটা সীমাবদ্ধতা থাকে।
এতে অনেকেই অভ্যস্ত নয় বা অনেকে প্রচলিত ব্লগিং এ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না, তাদের জন্য ভিডিও কনটেন্ট ক্রিয়েটিং বা ইউটিউব জাতীয় ভিডিও শেয়ারিং সাইট গুলো বিকল্প হিসাবে কাজ করছে।
কেননা, ইউটিউবে শুধু আপনাকে কনটেন্ট ক্যাটাগরি ঠিক ভাবে সেট করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী তথ্যবহুল ভিডিও কনটেন্ট বানাতে হবে।
তাহলে সার্চ ইঞ্জিন থেকে প্রচুর ভিজিটর আপনার তৈরি ভিডিও দেখতে থাকবে। ভিজিটরের সংখ্যা যত বাড়বে, আপনার আয়ও ততই বাড়বে।
সবকিছু ওই ব্লগিংয়ের মতোই, ব্লগিংয়ে কনটেন্ট গুলো থাকে লেখা আকারে, আর এখানে থাকবে ভিডিও আকারে।
৪. এফলিয়েট মার্কেটিং থেকে অনলাইনে আয়
ভার্চুয়াল রিয়েলিটির যুগে অনেক কিছুরই ভার্চুয়াল রুপ দেখা যাচ্ছে, যা হয়তো মানুষ কল্পনাও করতে পারেনি।
অনলাইনে পন্য বিক্রি করে অনলাইনে ইনকাম করা যায়। এটা তো সবাই জানি, কিন্তু ধরুন, আপনার নিজস্ব কোন পন্য নেই।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা আয় করা কঠিন কিছু নয়
অথচ অনলাইনে আপনার একটা ওয়েবসাইট আছে। সেখানে আপনি বিধিসম্মতভাবে বড় বড় নামীদামি কোম্পানীর পন্য ভার্চয়ালি সাজিয়ে রাখতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মাধ্যমে অনলাইনে আয়
ক্রেতা পছন্দ করে ওখান থেকে পন্য কিনলে আপনি তার লভ্যাংশ পাবেন।শতকরার হিসাবে সংখ্যাটা মোটেও ছোট নয়।
সোজা কথায় এটাই হলো এফলিয়েট মার্কেটিং। সেটা কোন ফিজিক্যাল পন্য হতে পারে বা কোন ডিজিটাল পন্য।
উদাহরণ হিসাবে আমাজন, ইবে, দারাজ বা এ ধরনের বড় ইকমার্স সাইটের এফিলিয়েট প্রোগ্রামের কথা বলা যায়।
অনলাইনে আয় করার উপায় গুলোর মধ্যে এটিও ব্যাপক জনপ্রিয়।
৫. সার্ভে / রিভিউ এর মাধ্যমে অনলাইনে আয়
রিসার্চের জন্য অনেক বড় কোম্পানি সার্ভে পরিচালনা করে থাকে।ডিজিটাল মার্কেটিং এর অংশ হিসাবে অনলাইনে প্রোডাক্ট রিভিউ একটা নিয়মিত ব্যাপার।
এগুলোর বিনিময়ে অনেক বিশ্বস্ত সাইট আছে যারা অর্থ প্রদান করে থাকে।
৬. পিটিসি সাইট থেকে অনলাইনে আয়
নির্ভরযোগ্য এবং বিশ্বস্ত পিটিসি সাইট অবশ্যই আছে প্রতি ক্লিক বা ভিউ এর বিপরীতে যারা সততার সাথে পেমেন্ট করে থাকে।
কিছু অবাঞ্চিত ঘটনা যদিও এক্ষেত্রে ঘটে থাকে।পিটিসি সাইট থেকেও অনলাইনে ইনকাম করা যায়,একথা সত্য।
তবে আগে থেকে কাজ করে আসছে এমন পরিচিত কারোও রেফারেন্স এ এরকম বিশ্বস্ত পিটিসি সাইট এ জয়েন করা যায়, তাহলে প্রতারনা থেকে বাচা যাবে।
৭. ছবি বিক্রি করে অনলাইনে আয়
অনলাইনে এমন অনেক সাইট আছে যেখানে আপনার তোলা সৃজনশীল ছবিগুলো বিক্রির জন্য রাখতে পারবেন।
কোন বায়ার আপনার ছবি কিনতে আগ্রহী হলে আপনি তার কাছে নির্ধারিত মূল্যে ছবিগুলো বিক্রি করে অনলাইনে ইনকাম করতে পারবেন।
যেমনঃ shutterstock.com
৮. অনলাইনে পড়িয়ে টাকা আয়
পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে লেখাপড়া অনেকাংশেই অনলাইন নির্ভর হয়ে পড়েছে। যেখানে ক্লাসরুমের পরিবর্তে অনলাইন ক্লাসরুম বেশী প্রাধান্য পাচ্ছে।
সুতরাং অনলাইন ইনকাম করার উপায় গুলোর মধ্যে এটিও ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।টিউটর গন এক জায়গায় বসে একই সঙ্গে একাধিক ছাত্র ছাত্রীর সাথে যুক্ত হয়ে তাদের সাবলীল ভাবে পাঠদান করতে পারছে।
একাডেমিক কোর্স বা যে কোন পেশাদার কোর্স শেখানোর প্রচুর ডিমান্ড।এই কাজটি করে অনলাইন থেকে রোজগার করা সম্ভব।
পাশাপাশি বাসায় বাসায় গিয়ে ছাত্র পড়ানোর ঝামেলা থেকে টিউটরদের মুক্তি মিলেছে।
এক জায়গায় বসে একাধিক শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা দান করার সুযোগ শুধুমাত্র অনলাইনের বদৌলতে সম্ভব হচ্ছে।
এতে অনলাইন টিউটরদের জন্য বিশাল সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অনলাইনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে মোটা অংকের টাকা অনলাইন থেকে আয় করা সম্ভব। উপরের আলোচনার প্রেক্ষিতে একথা বলা যায় যে, অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় গুলো কাজে লাগিয়ে অবশ্যই অনলাইনে আয় করা সম্ভব।
৯. এপস ডেভলপমেন্ট
এপস ডেভলপমেন্ট একটি বড় আয়ের মাধ্যম। কিছু প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজের উপর দক্ষতা অর্জন করতে পারলে এপস ডেভলপমেন্টের কাজ করে মোটা অংকের টাকা অনলাইন থেকে আয় করা সম্ভব।
১০. ওয়েব ডিজাইন ও ডেভলপমেন্ট
বর্তমান ডিজিটালাইজেশনের যুগে ছোট বড় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থার নিজস্ব ওয়েবসাইট থাকা চাই। এছাড়াও নানান ধরনের কাজের জন্য টুলস ভিত্তিক ওয়েবসাইটের চাহিদাও প্রচুর।
আর তাই বর্তমান সময়ে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভলপমেন্টের কাজের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ওয়েব ডিজাইন বা ফ্রন্ট এন্ড অথবা ওয়েব ডেভলপমেন্ট বা ব্যাক এন্ড দুটি আলাদা ব্যাপার হলেও একে অন্যের সাথে জড়িত।
এই দুটোর যেকোন একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে অনলাইন থেকে মোটা অংকের টাকা আয় করার সুযোগ আছে।
১১ . আর্টিকেল রাইটিং
লেখালেখিতে সামান্য দক্ষতা থাকলে আর্টিকেল রাইটিং করে অনলাইন থেকে ইনকাম করা সম্ভব।
১২. ডিজিটাল মার্কেটিং
বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সহজ ও জনপ্রিয় অনলাইন ইনকাম। মাধ্যম হলো ডিজিটাল মার্কেটিং।
ডিজিটাল ডিভাইস এবং প্রযুক্তি (মোবাইল, কম্পিউটার, ইন্টারনেট ইত্যাদি) ব্যবহার করে কোন পণ্য বা সার্ভিসের প্রচারণা করাই হলো ডিজিটাল মার্কেটিং। যেটাকে অনলাইন প্রচারণা ও বলা হয়।
অনলাইনে আয় করার ১২ উপায় মোবাইল দিয়ে ২০২৪
শুধু ডেক্সটপ কম্পিউটার দিয়েই নয় এন্ড্রোয়েড মোবাইল ফোন দিয়েও অনলাইনে আয় করার সহজ উপায় আছে।
অনলাইন আয় মোবাইল দিয়ে করা খুবই সহজ। কারন আপনার এন্ড্রোয়েড ফোনে একটি মাত্র এপ্লিকেশন ইনস্টল করার মাধ্যমে সরাসরি মোবাইল দিয়ে অনলাইন থেকে টাকা আয় করা শুরু করতে পারেন।
একটা ল্যাপটপ বা পিসি সবসময় হাতে বহনযোগ্য নাও হতে পারে,কিন্তু মোবাইল ফোন যেকোন অবস্থায় যেকোন জায়গায় বহনযোগ্য বিধায় আপনি ইচ্ছা মতো আপনার সব কাজ মোবাইলে করতে পারবেন।
অনলাইন আয় মোবাইল দিয়ে ২০২২ সালের সেরা উপায় গুলো নিয়ে আমরা উপরে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।
উপরোক্ত কাজ গুলো করে অনলাইনে আয় করার জন্য কিছু ক্ষেত্রে পিসির প্রয়োজন হলেও বেশীর ভাগ কাজ গুলো যেকোন এন্ড্রোয়েড মোবাইল ফোনে করা যায়।
আপনার যদি একটি মধ্যম মানের এন্ড্রোয়েড মোবাইল থাকে আর যদি তাতে একটি ভাল মানের ক্যামেরা থাকে তাহলে আপনি সেই মোবাইল দিয়ে নিবিঘ্নে ইউটিউবিং করে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা ইনকাম করতে পারেন।
অথবা পথে ঘাটে চলতে ফিরতে শখের বশে আপনার মোবাইলের ক্যামেরায় তোলা ছবি গুলো বিভিন্ন ওয়েবসাইটে বিক্রি করতে পারেন।
তেমনি ভাবে আপনি যদি এডসেন্স নিয়ে কাজ করেন তাহলে আপনার এন্ড্রোয়েড মোবাইল ব্যবহার করে সহজেই কনটেন্ট লিখতে,এডিট করতে ও পাবলিশ করতে পারবেন।
তাছাড়া আপনি যদি সার্ভে বা পিটিসি সাইট নিয়ে কাজ করেন তাহলে আপনার মোবাইল দিয়েই সেই কাজ গুলো খুব সহজেই করতে পারবেন।
রেসপনসিভ ওয়েব এপ্লিকেশন গুলোর কল্যানে এখন ওয়েবের প্রায় সবকাজই মোবাইল দিয়ে করা সম্ভব হয়।
তাই এখন আর ডেক্সটপ নিয়ে নির্দিষ্ট জায়গায় বসে বসেই যে কাজ করতে হবে বিষয়টি এমন নয়।
আপনি আপনার এন্ড্রোয়েড ফোনে সামান্য কিছু সেটিংস পরিবর্তন করে ডেক্সটপ পিসির প্রায় সব কাজ মোবাইল ফোনেও করতে পারবেন।
জনপ্রিয় অনেক ইনকাম সাইট আছে যেগুলোর এন্ড্রোয়েড এপস আছে। যা আপনার মোবাইলে ইনস্টল করে অনায়াসেই অনলাইন ইনকাম মোবাইল দিয়ে শুরু করতে পারবেন।
অনলাইন আয় মোবাইল দিয়ে ২০২৩ সালে নানান সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে।
যার মাধ্যমে মানুষ ঘরে বসেই হাতে থাকা ডিভাইস ব্যবহার করে টাকা ইনকাম করার নানান কৌশল রপ্ত করে ফেলেছে।
সুতরাং সামান্য মেধা বা পেশাগত দক্ষতা থাকলে অনলাইন থেকে মোটা অংকের টাকা আয় করা সম্ভব।
উপসংহার
প্রোগ্রামিংয়ের বিভিন্ন অংশ নিয়ে অনলাইন প্রতিযোগিতা হয়, যেখানে রিয়েল লাইফ কিছু কিছু সমস্যা তুলে ধরা হয়। সঠিক সমাধানকারী বিজয়ী বিবেচিত হয়।
এই প্রতিযোগিতার দিকে নজর রাখে বড় কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান গুলো। হয়তো তাদের কোন একটা বড় সমস্যার সমাধান এখান থেকেই পেয়ে গেল।
যেটা করার জন্য তাদের অনেক ডলার খরচ করে নামী দামী ডেভলোপার/প্রোগ্রামার হায়ার করতে হতো।সেটা অনেক অল্প খরচেই হয়ে গেল।
সেজন্য অনেক বড় কোম্পানি বড় কোন প্রজেক্টের জন্য ডেভলোপার ভাড়া না করে তাদের সমস্যা সম্পর্কিত প্রতিযোগিতার আয়োজনে স্পন্সর করে।
প্রতিযোগিতা শেষে তারা পেল তাদের সমাধান আর প্রতিযোগিরা পেল অর্থ। কমিউনিটির জন্য এটা খুব ভালো ফল বয়ে আনে।
সর্বশেষ কথা হলো, লক্ষ্য যদি পরিষ্কার থাকে, যদি মেধা, শ্রম আর অধ্যবসায় এর মধ্যে সমন্বয় করতে পারেন। তাহলে আপনি যেখানে যে অবস্থায় থাকেন না কেন, আপনি অবশ্যই সফল হবেন।
প্রতিনিয়ত অনলাইনে আয়ের নতুন নতুন উপায় উম্মোচিত হচ্ছে। সব কিছুই আগের চেয়ে অনেক সহজ হয়েছে। কিন্তু এখানে গুরুত্বপুর্ন বিষয় হচ্ছে, বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য সাইট খুজে পাওয়া।
কারন যেহেতু এখানে অর্থনৈতিক ব্যাপার জড়িত সেহেতু এখানে সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরী।
আপনি যেন তেন সাইট থেকে ইনকাম করার চেষ্টা করে প্রতারিত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে আপনি অনলাইনে আয় করার ১২ উপায় গুলো নিয়ে কাজ করতে পারেন।
Comments are closed.