দেশী অল্প কিছু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের কল্যানে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট পাওয়া যায়। এমনিতেই পেমেন্ট সংক্রান্ত জটিলতার কারনে আউটসোর্সিং এর প্রতি অনেকের অনীহা জন্মে গেছে।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এবং বাংলাদেশী এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট গুলোর বিস্তারিত জানতে পড়ুন
কিন্তু যদি এমন হয় যে আপনার অনলাইন ইনকামের টাকা বিকাশ পেমেন্ট নিতে পারছেন, তাহলে ফ্রিল্যান্সিং এর একটি সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখা যেত।
যদিও ফ্রিল্যান্সিং এর জন্য আমাদের দেশে অনূকুল পরিবেশ নেই,পেমেন্ট গেটওয়ে নিয়ে নানান জটিলতায় ফ্রিল্যান্সারের কষ্টার্জিত অর্থ হাতে পাওয়ার সুব্যবস্থা নেই তবে ইদানিং দেশী কিছু ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের কল্যানে আউটসোর্সিং এর মাধ্যমে অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট পাওয়া যায়।
তবে আমাদের দেশে অনলাইন ইনকাম করে বিকাশ পেমেন্ট করে এমন ওয়েবসাইটের সংখ্যা নিতান্তই কম। কারন এখানে বিশ্বাসযোগ্যতার ব্যাপার আছে।
আপনি শত পরিশ্রম করে আপনার ক্লায়েন্ট দের জন্য কাজ করে দিলেন কিন্তু পেমেন্ট সংক্রান্ত জটিলতায় ফেসে গেলেন। ফলাফল কস্টার্জিত টাকা আপনি পুরোপুরি ভোগ করতে পারলেন না।
-
অনলাইন ইনকাম সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুন
অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট এবং প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ
অত্যন্ত দুঃখ ও আশ্চর্যের বিষয় হলো যে,বাংলাদেশে বাস করে আউটসোর্সিং থেকে ফ্রিল্যান্সারদের আয়কৃত টাকা হাতে পাওয়ার সহজ কোন পথ খোলা নেই।
নানা আইনি জটিলতায় পেপালের মতো জনপ্রিয় ও সর্বাধিক ব্যবহ্যত পেমেন্ট সিস্টেম এখানে ব্যবহার করার অনুমতি নেই।ফলে বিশেষ করে যারা আন্তজাতিক পর্যায়ে আউটসোর্সিং করে তাদের পারিশ্রমিকের টাকা হাতে পাওয়া নিয়ে সবসময় উদ্বিগ্ন থাকে।
জেনে নিন বিকাশ কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সাথে কিভাবে ফ্রিতে কথা বলতে হয়,
খুব সহজ ভাষায় বলতে গেলে যদিও আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে বিভোর কিন্তু বাস্তবতা হলো আমাদের দেশের কিছু আইন কানুন নিয়ম নীতি প্রযুক্তি বান্ধব নয়।
অথচ গার্মেন্টস খাতের পর আউটসোর্সিং হতে পারতো বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনের অন্যতম মাধ্যম।তথ্য প্রযুক্তি বিদদের মতে সঠিক পরিবেশ তৈরি করতে পারলে আউটসোর্সিং থেকেই সর্ব্বোচ্চ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।
এমতাবস্থায় বিদেশী ওয়েবসাইট থেকে অনলাইন ইনকামের টাকা বিকাশে পেমেন্ট পাওয়ার আশা করা বৃথা।
অথচ আমাদের দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীকে সামান্য কিছু পেশাগত দক্ষতা এবং প্রযুক্তিগত সুবিধাগুলো নিশ্চিত করতে পারলে এই বিপুল সংখ্যাক জনগোষ্ঠীকে বেকারত্বের বোঝা বইতে হতো না।
পাশাপাশি এটিই হতে পারতো বৈদেশিক মুদ্রা কামানোর অন্যতম প্রধান মাধ্যম।এতো কিছু বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও দেশের কিছু মেধাবী সন্তানেরা বসে নেই।আউটসোর্সিং খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তারা নিরলস ভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
তবে, অতি সম্প্রতি খুব অল্প সংখ্যক কিছু বিশ্বস্ত বাংলাদেশী সাইট আছে যেখানে কাজ করে আপনি সরাসরি বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
বাকী সব গুলোকে চিটার বাটপার বলবো না তবে বিশ্বস্ততার প্রশ্নে যাচাই বাছাই করে কাজ করা উচিত।যাতে মূল্যাবান মেগাবাইট নষ্ট করে বেগার সময় দিতে না হয়।
বাংলাদেশের মতো দেশগুলো যেখানে পেপাল এর মতো মানি ট্রান্সফার সার্ভিস গুলো পাওয়া যায় না সেখানে অনলাইনে ইনকাম করে সেই উপার্জিত টাকা হাতে পেতে অনেক ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয়
আপনার উপার্জিত অর্থ বিকাশের মাধ্যমে পেমেন্ট পাওয়ার সুবিধা থাকলে সেক্ষেত্রে নিঝঞ্ঝাটে উপার্জিত অর্থ হাতে পাওয়া যেত।
কিন্তু দুঃখের বিষয় অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট এর সুবিধা এখনো সেভাবে বিস্তার লাভ করেনি।মূলত অল্প কিছু বাংলাদেশী আর্নিং সাইটে এই সুবিধা টা পাওয়া যায়।
এর বাহিরে অনলাইন ইনকাম করে বিকাশ এর মাধ্যমে পেমেন্ট এর সুবিধা পাওয়া যায় না।হ্যা,অবশ্যই অনলাইনে অনেক বিশ্বস্থ মার্কেটপ্লেস রয়েছে যেখানে কাজ করে যথাযথ মূল্য বুঝে পাওয়া যায়।
বেশীর ভাগ জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস গুলো আপনার উপার্জিত টাকা আপনার ব্যাংক একাউন্টে ট্রান্সফার করে অথবা পেপাল জাতীয় মানি ট্রান্সফার সিস্টেমের মাধ্যমে টাকা প্রদান করে থাকে।
অথবা ব্যাংক ট্রান্সফারের সুযোগ থাকে। আর ইন্টারনেট ব্যাংকিং এর বদৌলতে ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা বিকাশে আনা খুবই সহজ।
যেহেতু আপনি উপার্জিত টাকা আপনার ব্যাংক একাউন্টে নিতে পারবেন সেহেতু ব্যাংক একাউন্ট থেকে বিকাশের এড মানি অপশন ব্যবহার করে অনলাইন ইনকামের টাকা বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
সেক্ষেত্রে একটু বুদ্ধি খাটিয়ে দেশী বা বিদেশী যেকোন মার্কেটপ্লেস থেকে উপার্জিত অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট নেওয়া যেতে পারে।
তবে আর একটা বিষয়ে নজর দিতে হবে সেটা হলো কমিউনিকেশন ক্যাপাবিলিটি।মার্কেট প্লেস এ কাজ খোজা, বায়ারের সাথে ড্রিল করতে এটা কাজে লাগবে।
প্রসিদ্ধ কিছু মার্কেটপ্লেস হলো, ফ্রিল্যান্সার ,আপওয়ার্ক,ফাইবার, ক্যাগল অন্যতম। আসলে কাজের ধরনভেদে মার্কেট প্লেস গুলো আলাদা হয়। এই ধরনের মার্কেটপ্লেস গুলোতে ব্যাংক ট্রান্সফারের সুযোগ থাকে।
কিছু দেশী ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস আছে যেগুলো সরাসরি আপনার অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট করে থাকে। বিশ্বাসযোগ্যতা ও বিশ্বস্ততার প্রশ্নে এরকম মার্কেটপ্লেসের সংখ্যা হাতে গোনা। উদাহরনসরুপ dolancer বা স্বাধীন কাজ ডট কম এর কথা বলা যায়।
বিকাশে পেমেন্ট করে এমন সাইট
ইদানিং বাংলাদেশী কিছু ওয়েবসাইট থেকে ইনকামের টাকা সরাসরি বিকাশে পেমেন্ট নেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে।কিন্তু এগুলোর সংখ্যা অনেক কম।
তারপর আবার বিশ্বস্ততার একটা প্রশ্ন থেকেই যায়।এর মধ্যে থেকে বিকাশে পেমেন্ট করে এমন সাইট এর নাম ও বিবরন নিয়ে আজ বিস্তারিত আলোচনা করবো।
আগেই বলেছি সরাসরি বিকাশে এমন করে এমন সাইটের সংখ্যা হাতে গোনা। হতাশ হওয়ার কিছু নেই কারন প্রযুক্তির কল্যানে প্রতিদিন নতুন নতুন সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
বিল্যান্সার ডট কম
এটি একটি বাংলাদেশী অনলাইন আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেস।যেহেতু এটি বাংলাদেশী সাইট সেহেতু এটার পেমেন্ট সিস্টেম গুলো বাংলাদেশী।
অর্থাত এখানে উপার্জিত অর্থ আপনি বিকাশ,রকেট বা যে কোন বাংলাদেশি ব্যাংক একাউন্টে নিতে পারবেন।
অনেকে আছেন পেশাগত কাজে খুবই দক্ষ কিন্তু ইংরেজীতে কাচা।যেহেতু আন্তর্জাতিক মার্কেটপ্লেস গুলো সব ইংরেজীতে এবং এগুলোর সব প্রক্রিয়া ইংরেজীতেই সম্পন্ন হয়।
সেহেতু ইংরেজীতে দুর্বল ফ্রিল্যান্সার গন দেশী মার্কেটপ্লেস সাইট গুলো থেকে অনলাইনে ইনকাম করে বিকাশে পেমেন্ট গ্রহন করতে পারবেন।
লিংকঃ-বিল্যান্সার ডট কম
স্বাধীন কাজ ডট কম
বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের কথা বিবেচনা করে স্বাধীন কাজ ডট কম সাইট টি বানানো হয়েছে।এখানে বায়ার এবং ফ্রিল্যান্সার দুজনেই বাংলাদেশী হওয়ায় কাজের ড্রিল এবং পেমেন্ট হয় নিঝঞ্ঝাট।
আদতে এটি আপওয়ার্কের আদলে তৈরি একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস।এখানে বায়ার তার কাজের বর্ননা দিয়ে পোষ্ট দিবে আর ফ্রিল্যান্সাররা সেই কাজের মূল্য নিয়ে বিড করবে। বায়ার এর মন পুত হলে ফ্রিল্যান্সার শর্ত সাপেক্ষে কাজটি পেয়ে থাকেন।
এখানে ড্রিলের টাকার মোট পরিমানের ২০ শতাংশ স্বাধীন কাজ ডট কম কেটে রাখে বাকী ৮০ শতাংশ টাকা ফ্রিল্যান্সার পেয়ে থাকে।
স্বাধীন কাজ ডট কম থেকে খুব সহজেই আপনার অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট নিতে পারবেন।
লিংকঃ-স্বাধীন কাজ ডট কম
কাজ কি ডট কম
আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং এর ক্ষেত্রে একেবারে নতুন হয়ে থাকেন,খুব ভালো মানের কাজে আপনার দক্ষতা নেই বললেই চলে,ইংরেজীতে বায়ারের সাথে কথোপকথনে আপনার সমস্যা হয় তাহলে আপনি কাজ কি ডট কম এ ইনকাম করে বিকাশে পেমেন্ট নিতে পারবেন।
নতুন হিসাবে এখানে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন,ডাটা এন্ট্রি,কন্টেন্ট রাইটিং,ভিডিও এনিমেশন এর মতো সহজ কাজ গুলো পেয়ে যাবেন।
কাজ কি ডট কম কিছুটা ফাইভারের আদলে তইরি।এখানে ফ্রিল্যান্সার নির্দিষ্ট কাজের উপরে গিগ পাবলিশ করবে,বায়ার সব তথ্য যাচাই করে পছন্দ মতো ফ্রিল্যান্সারকে চুক্তিভিত্তিক কাজ দিবে।
এখানে আপনার অনলাইনে উপার্জিত টাকা দেশীয় পেমেন্ট সিস্টেম বিকাশ ব্যবহার করে গ্রহন করা যাবে।
লিংকঃ-কাজ কি ডট কম
নতুনদের জন্য ফ্রিল্যান্সিং এর পূর্নাঙ্গ গাইডলাইন
-
ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে শিখবো জানতে চাইলে পড়ুন
কাজ যেটাই হোক বা মার্কেটপ্লেস যেটাই হোক অনলাইনে যেকোন কাজ করার পুর্বে তাদের পেমেন্ট সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে বুঝে তবেই কাজ করা উচিত।
পরিশেষে
এটা সত্যি অনলাইন ইনকাম বিকাশ পেমেন্ট এর মাধ্যমে হাতে পাওয়ার ব্যবস্থা থাকলে ব্যাপারটা অনেক সহজ হয়।কারন এই মূহুর্তে ফ্রিল্যান্সারদের কস্টার্জিত টাকা হাতে পাওয়ার জন্য বিকাশ সেরা মাধ্যম।