সম্প্রতি ইসরাইলের এনএসও গ্রুপের তৈরি ফোনে আড়ি পাতার এপ্লিকেশনটি নিয়ে ব্যাপক তোড়জোড় শুরু হয়েছে।হবে না কেন কিছুদিন আগেই পেগাসাস স্পাইওয়্যার দ্বারা বিশ্বের বড় বড় নেতাদের ফোনে আড়ি পাতার ঘটনা প্রকাশ্যে জনসম্মুখে আসে।মূলত এরপর থেকেই সমালোচনার ঝড় শুরু হয়,প্রশ্ন উঠে পেগাসাস স্পাইওয়ার এর নির্মাতাদের নিয়ে।
আইফোন প্রেমীদের জন্য সুখবর
পেগাসাস স্পাইওয়্যার কি
এটি হলো এমন একটি সিস্টেম যা বিশেষ লিংক ব্যবহার করে দূর থেকে একটি ফোনের অপারেটিং সিস্টেমের নিয়ন্ত্রন গ্রহন করে ফোনের যাবতীয় তথ্য সেই সিস্টেমের নিয়ন্ত্রনকারীর কাছে পাঠিয়ে দেয়।
মোবাইল কোম্পানির অনবরত ম্যাসেজে বিরক্ত। চিরতরে বন্ধ করুন প্রমোশনাল এসএমএস
ইসরাইলের প্রতিষ্টান এসএসও গ্রুপের তৈরি পেগাসাস স্পাইওয়্যার দ্বারা দূর থেকে ফোনে আড়ি পাতা সম্ভব এবং ফোনের যাবতীয় তথ্য হাতিয়ে নেওয়া সম্ভব।
রিয়েলমি সি ৩৫ এর ফুল স্পেসিফিকেশন
শুধু তাই নয় আক্রান্ত ফোন টি বন্ধ থাকলেও পেগাসাস স্পাইওয়্যার দ্বারা সেই ফোনের ক্যামেরা নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব। শুধু তাই নয় আক্রমনকারী দূরে বসেই পেগাসাস স্পাইওয়্যার দ্বারা ফোনের যাবতীয় তথ্য নিজের কব্জায় নিতে পারে।
ওয়েব সিকিয়রিটি বনাম স্পাইওয়ার
মুখে বলে বাংলায় টাইপ করুন যে কোন কিছু,
এন্ড্রোয়েড ফোনে মুখে বলে বাংলায় টাইপিং
পেগাসাস স্পাইওয়্যার কেলেংকারীর সুচনা
এর আগেও ২০১৬ সালে পেগাসাস দ্বারা বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ফোনে আড়ি পাতার ঘটনাটি সামনে আসে।তবে সেসময় আদৌ আক্রান্ত ফোনগুলো পেগাসাস নিয়ন্ত্রন করতে পেরেছিল কি না সে বিষয়ে যথেষ্ট প্রমান না থাকায় বিষয়টি নিয়ে আর কেউ ওতোটা মাথা ঘামায়নি।
আপনি কি আইফোন প্রেমী, তাহলে আইফোন ১২ প্রো ম্যাক্স এর বিস্তারিত জানতে নিচের লেখাটি পড়ুন,
কিন্তু সম্প্রতি বিশ্বের বিশেষ কিছু নেতার ফোনে পেগাসাস স্পাইওয়্যার এর মাধ্যমে আড়ি পাতার ঘটনাটি তুমুল সমালোচনার জন্ম দেয়।যার ফলে বিশ্ব নেতারা তো বটেই সাথে গোটা বিশ্ব নড়েচড়ে বসে।
আইফোন ১৪ এর দাম ও ফুল স্পেসিফিকেশন
পুরা ঘটনাটি মানুষের সামনে আসার পর ভি আই পি রা তো বটেই সাধারন মানুষও খুব আতংকে আছে।কারো ব্যক্তিগত ফোনে আড়ি পাতার অর্থ হচ্ছে ব্যক্তি স্বাধীনতার উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ।
নতুন মোবাইল ফোন কেনার আগেই জেনে নিন ফোনটি আসল কি না?
imei চেক করে বৈধতা যাচাই করে নিন
এর নির্মাতারা সাফ জানিয়েছে ,পেগাসাস অপব্যবহারের দ্বায় দ্বায়িত্ব তারা কিছুতেই নিবে না।তারা জানিয়েছে যে ,এ ধরনের যন্ত্র তারা শুধু রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষের কাছে বিক্রি করেছে।কোন ব্যক্তি বিশেষের কাছে নয়।
অসাধারণ ক্যামেরা ও ভিডিও এর জন্য বিখ্যাত গুগল পিক্সেল ৭ প্রো ফোনটি সম্পর্কে জেনে নিন
এ কারনেই এমেনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল এর মতো বিশ্ব সংগঠন স্পাইওয়ারের খবরদারী বন্ধ করতে সহযোগিতার হাত বাড়ায়।মূলত এমেনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল এর তৎপরতার কারনে পেগাসাস কেলেংকারীর এর বিষয়টি জনসম্মুখে আসে।
পেগাসাস স্পাইওয়ার এর টার্গেট কারা
তবে সাধারন মানুষের আশ্বস্ত হওয়ার মতো তথ্য আছে তা হলো বিশেষ করে পেগাসাস স্পাইওয়্যার টি ঢালাওভাবে যত্র তত্র ছড়িয়ে পড়ছে না।বরং বিশেষ ব্যক্তিকে টার্গেট করে তার ফোনটিকে পেগাসাস ব্যবহারকারী নিজেদের নিয়ন্ত্রনে নিয়ে নেয়।
আতংকের বিষয় হলো আক্রান্ত ফোনটি বন্ধ থাকলেও পেগাসাস স্পাইওয়ার সেই ফোন ক্যামেরা এক্সেস পায়।সবচেয়ে আতংকের কথা হলো আজ বিশেষ বিশেষ ব্যক্তিদের টার্গেট করা হচ্ছে কাল আপনি বা আমি সেই টার্গেটে পড়বো কি না কে জানে।
পেগাসাস স্পাইওয়্যার কিভাবে কাজ করে
আগেই বলেছি,অন্যান্য ভাইরাস বা ম্যালওয়ারের মতোই পেগাসাস স্পাইওয়্যার টি একই পদ্ধতিতে টার্গেট ভিকটিমকে আক্রমন করে।তবে যদি ভিকটিম লিংকে ক্লিক না করে তবে আক্রমনকারীর চেষ্টা শুরুতেই ভেস্তে যাবে।
এবার এসে গেল মোবাইলে আনলিমিটেড ডাটা সার্ভিস
প্রথমত আই ম্যাসেজ বা সাধারন এন্ড্রোয়েডের ম্যাসেজ এর মাধ্যমে একটা লিংক আসে ভিকটিম ফাদে পড়ে সেই লিংকে ক্লিক করলে ভিকটিমের ফোনের সম্পুর্ন নিয়ন্ত্রন আক্রমনকারীর হাতে চলে যাবে।
আক্রমনকারী দূরে বসে ভিকটিমের ফোনের যাবতীয় তথ্যাদি নিজের কব্জায় নিয়ে নিতে পারবে।
শিশুদের ইন্টারনেটের অবাধ পর্নোগ্রাফী থেকে বাঁচাতে গুগলের সেফ সার্চ সম্পর্কে জেনে নিন
পেগাসাস স্পাইওয়্যার থেকে বাঁচার উপায়
তবে তথ্য প্রযুক্তিবিদদের মতে,পেগাসাস স্পাইওয়্যার বা এই জাতীয় ভাইরাস,ম্যালওয়ার থেকে বাঁচার জন্য কিছু সর্তকতা অবলম্বন করাটা জরুরী।যার দ্বারা এ ধরনের অপচেষ্টা গোড়াতেই নির্মুল করা সম্ভব।
আর দশটা ম্যালওয়ার যেভাবে যেভাবে কাজ করে পেগাসাস স্পাইওয়্যার ও ঠিক একই পদ্ধতি ব্যবহার করে।টার্গেট করা ব্যক্তির ফোনে কোন লিংকের সাহায্যে ম্যালওয়ারটি প্রবেশ করে পুরা সিস্টেমের নিয়ন্ত্রন নিয়ে নেয়।এটা গুগলের এন্ড্রোয়েড সিস্টেম এবং আইওএস সিস্টেম নিয়ন্ত্রন করতে পারে।
পেগাসাসের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হলো এটির নিয়ন্ত্রনকর্তা আক্রান্ত ফোনের ক্যামেরা,মাইক্রোফোন,কল রের্কড , ইমেল ও ইমেজ গ্যালারীর যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য মুহুর্তেই হাতিয়ে নিতে পারে।
তবে আতংকিত না হয়ে মোবাইল ফোন বা ইন্টারনেট ব্যবহারের ক্ষেত্রে ২ টি সাধারন নিয়ম মেনে চললে পেগাসাস বা অন্য যে কোন ম্যালওয়ার থেকে বাঁচা খুবই সহজ।
সঠিকভাবে নিয়ম ২ টি মেনে চললে শুধু পেগাসাস কেন অন্য কোন ভাইরাস বা ম্যালওয়ার আপনার ফোনে এটাক করতে পারবে না।
পেগাসাস স্পাইওয়ার
প্রথমত ,ফিজিক্যাল সিকিউরিটি অর্থাৎ আপনার ফোনটি যেন কোন ভাবেই খোলা অবস্থায় অন্যের হাতে না পড়ে।
এক্ষেত্রে পিন,পাসওয়ার্ড,ফিঙ্গারপ্রিন্ট,ফেসলক ইত্যাদি ফিচার ব্যবহার করা যেতে পারে।
দ্বিতীয়ত,ইন্টারনেট সিকিউরিটির সাধারন নিয়ম গুলো মেনে চলা।
যেমন,
ইন্টারনেট ব্রাউজিং করার সময় কোন অপ্রয়োজনীয় লিংকে ক্লিক করার ক্ষেত্রে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা।আকর্ষনীয় ব্যানারের ফাদে এইসব ম্যালওয়ার গুলো লুকিয়ে থাকে ।
একটি মাত্র ক্লিকে আপনার ফোনের নিয়ন্ত্রন আপনি হ্যাকারের হাতে তুলে দিলেন।আপনি যদি কোন অবাঞ্চিত লিংকে ক্লিক না করেন তাহলে আপনি সম্পুর্ন নিরাপদ।
নির্ধারিত ওয়েবসাইট ছাড়া ব্যবহ্যত সফটওয়ার ডাউনলোড বা আপডেট না করা ।
ম্যাসেজ এ আসা লিংক গুলো তে ক্লিক করার ক্ষেত্রে সতর্কতা।
ফোনে ব্যক্তিগত তথ্যগুলো এনক্রিপ্ট করে রাখা।
পরিশেষে
পেগাসাস স্পাইওয়ার কেলেংকারীর ঘটনার বিষয়টি সম্পর্কে এমেনেষ্টি ইন্টারন্যাশনাল এর সাইট ভিজিট করুন।
নাগরিকের ব্যক্তি স্বাধীনতা সংরক্ষনের দ্বায়িত্ব রাষ্টের।তারপরও নিজের নিরাপত্তার স্বার্থে কিছু সর্তকতা বা পূর্বাভাস মেনে চলা উচিত।তাহলে শুধু পেগাসাস স্পাইওয়্যার কেন যেকোন ধরনের ভাইরাস,ম্যালওয়ার থেকে নিজের ফোন সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।
Comments are closed.