আমরা যেটাকে ঔষধের গ্রুপ বলে জানি, চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় সেটা হলো জেনেরিক নাম। ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ সম্পর্কে সাধারন মানুষের ধারনা খুবই কম। ফলে ওষুধের ব্র্যান্ড নাম ও জেনেরিক নাম নিয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়িয়ে আছে।
তাই আজকের লেখার উদ্দ্যেশ্য হলো ওষুধ সম্পর্কে সাধারন মানুষের ধারনাটা আরোও পরিস্কার করা।
কয়েকটি ঔষধ সবসময় ঘরে রাখলে জরুরী প্রয়োজনে জীবন বাঁচাতে সাহায্যে করে,
ঔষধের জেনেরিক নাম ও ব্যান্ড নামের পার্থক্য
কোম্পানিগত ভাবে ব্র্যান্ড নাম বা মার্কা নাম ভিন্ন হলেও জেনেরিক নাম থেকে বোঝা যায় ওষুধটি কি ধরনের এবং কি কি কাজ করবে।
জানতে চান কিভাবে ড্রাগ লাইসেন্স করতে হয়
ঔষধটি কোন ধরনের, এর কার্যকর উপাদান ও কোন রোগের জন্য নির্দেশিত।
উচ্চতা অনুযায়ী ওজনের তারতম্য নানান শারিরীক জটিলতার প্রধান কারন। জেনে নিন আপনার শরীরের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিক আছে কি না
এর ফলে জেনেরিক দেখেই ঔষধকে বিশ্বব্যাপি একইরুপে চেনা যায়। ব্র্যান্ড নাম যেটাই হোক মূল বিষয় হলো ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ কিতু একই।
ধরুন বাংলাদেশের স্কয়ার ফার্মার তৈরি এজিথ্রোমাইসিন Azithromycin এর নাম হলো জিম্যাক্স Zimax।
ঔষধ কোম্পানীর চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির সর্বশেষ আপডেট
আবার রেডিয়্যান্ট কোম্পানীর একই উপাদানে তৈরি ঔষধের নাম হলো একোজ Acos, এখানে ঔষধটির জেনেরিক নাম হচ্ছে এজিথ্রোমাইসিন Azithromycin, জিম্যাক্স Zimax বা একোজ Acos হলো ব্র্যান্ড নাম।
ওটিসি ওষুধ ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই খাওয়া যায়,জেনে নিন কোন গুলো
একই ভাবে ভিন্ন ভিন্ন কোম্পানীর তৈরি এজিথ্রোমাইসিন Azithromycin আলাদা নামে বা আলাদা ব্র্যান্ডে মার্কেটে এসেছে।এটাই হলো জেনেরিক আর ব্র্যান্ড নামের মধ্যে পার্থক্য।
ধেয়ে আসছে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস,জেনে নিন বাচার উপায়
আমাদের দেশের ডাক্তারগন প্রেসক্রিপশনে ঔষুধের ব্র্যান্ড নাম লিখলেও বিশ্বের বেশীরভাগ দেশের ডাক্তারগন প্রেসক্রিপশনে ঔষুধের জেনেরিক নাম লিখে থাকে।
জেনেরিক নাম লেখার সুবিধা হলো রোগী তার ইচ্ছা মতো যেকোন ব্র্যান্ডের ঔষুধ কিনে খেতে পারে।
এন্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্স মানবজাতির জন্য মহাবিপর্যয়ের অশনিসংকেত
মুলত বাণিজ্যিক দিক বিবেচনা করেই আমাদের দেশে ডাক্তারগন প্রেসক্রিপশনে ঔষুধের জেনেরিক নাম না লিখে সরাসরি ব্র্যান্ড নাম লিখে থাকে।
কোভিড -১৯ এর বুষ্টার ডোজ নিয়েছেন কি? না নিলে জেনে নিন কিভাবে কোথায় থেকে বুষ্টার ডোজ দিবেন,
অবশ্য ইদানিং এটা নিয়ে চিন্তাশীলরা খানিকটা সরব হয়ে উঠেছেন। তাদের দাবী প্রেসক্রিপশনে ব্র্যান্ড নাম নয় জেনেরিক নাম লিখতে হবে।
সময়ের প্রেক্ষাপটে যা অত্যন্ত যৌক্তিক দাবী।
চিকিৎসা বিজ্ঞান অনুযায়ী ঔষুধের মুল উপাদান অর্থাৎ জেনেরিক ঠিক থাকলে যে কোন ব্যান্ডের ঔষুধ একই কাজ করবে।
তাই সময়ের দাবী ব্র্যান্ড নাম লিখে রোগীকে কোন নির্দিষ্ট কোম্পানীর নিকট জিম্মি না করে প্রেসক্রিপশনে ঔষধের জেনেরিক নাম লিখতে হবে।
যাতে সাধারন মানুষ চিকিৎসা বিজ্ঞানের মূল অবদান গুলোর সম্পূর্ন সুবিধা ভোগ করতে পারে।
এজন্য ঔযধের জেনেরিক নাম ও কাজ সম্পর্কে সকলের কমবেশি ধারনা থাকা প্রয়োজন।
ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থেকে বাঁচতে জেনে নিন, ডেঙ্গুর লক্ষন ও চিকিৎসা পদ্ধতি
আজকের পোষ্টে আমরা একই জেনেরিকের বিভিন্ন কোম্পানির তৈরি ঔষুধের নাম, ধরন, প্যাকিং সাইজ এবং প্রতি পিসের দাম জানার চেষ্টা করবো।
ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ এর বিস্তারিত
এতোক্ষন আমরা ঔষধের জেনেরিক বা গ্রুপ নামের সাথে ব্র্যান্ড নামের পার্থক্য সম্পর্কে জানলাম। সহজ ভাষায় ঔষধের মূল উপাদান হলো এর জেনেরিক নাম আর সেই উপাদান কে ঠিক রেখে আলাদা আলাদা কোম্পানী সেই একই ঔষধ বাজারজাত করে।
এবার আমরা একই জেনেরিকের আলাদা কোম্পানীর ব্র্যান্ড নাম ,দাম ও কার্যকারিতা টেবিল আকারে দেখানোর চেষ্টা করবো। আশা করি এতে পাঠক উপকৃত হবে।
ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ
ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ :- এজিথ্রোমাইসিন – Azithromycin
উপাদানঃ এজিথ্রোমাইসিন ইউএসপি
অ্যাজিথ্রোমাইসিন Azithromycin একটি অ্যান্টিবায়োটিক শ্রেণীর থেরাপিউটিক ঔষধ।
এটি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ চিকিৎসার জন্য ব্যবহার হয়।১৯৮০ সালের দিকে এই এন্টিবায়োটিক ওষুধটির ব্যবহার শুরু হয়।
এজিথ্রোমাইসিন Azithromycon অ্যান্টিবায়োটিকটি ম্যাক্রোলাইড গোত্রের ওষুধ।
প্রানঘাতি করোনা সংক্রমন থেকে বাঁচতে জেনে নিন করোনার লক্ষন, প্রতিকার এবং প্রতিরোধের উপায় সমূহ
এটি অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী। বিশেষ করে ফুসফুস, ত্বক, কান ও যৌনঘটিত রোগের সংক্রমনেও ঔষধটি বহুল ব্যবহৃত।
এজিথ্রোমাইসিন গ্রুপের কিছু ওষুধের উদাহরন হলোঃ
জিম্যাক্স (Zimax), এজিথ (Azith), রোজিথ (Rozith), এজিম্যাক্স (Azimax), এজিন (Azin), এজিসিন (Azicin), জিথ্রিন (Zithirin), জিথ্রক্স (zithrox), এ জেড (Az), একোজ (Acos), এজিরক্স (Azirox), এজিথ্রোসিন (Azithrocin), জিবেক (Zibac) ইত্যাদি।
এজিথ্রোমাইসিন ৫০০ – Azitromycin 500 এর কাজ কি
এটি মূলত অনেক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে কার্যকরী। যৌনঘটিত রোগের সংক্রমন সহ ফুসফুস, ত্বক, কানের সংক্রমনে এজিথ্রোমাইসিন সফলভাবে কার্যকরী।
ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ :- ক্লিন্ডামাইসিন – Clindamycin
উপাদানঃ ক্লিন্ডামাইসিন হাইড্রোক্লোরাইড ইউএসপি
ক্লিন্ডামাইসিন Clindamycin এক ধরনের লিনকোমাইসিন জাতীয় অর্ধ-সংশ্লেষী semisynthetic এন্টিবায়োটিক যা সংবেদনশীল ক্ষুদ্র অরগানিজমের মাধ্যমে সৃষ্ট ইনফেকশনের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
জেনে নিন করোনা ভাইরাস থেকে বাচার উপায়
বিভিন্ন বাণিজ্যিক নামে এই ঔষধটি বিক্রি করা হয়। এর মধ্যে রয়েছেঃ
ক্লিন্ডাসিন (Clindacin), ক্লিমাইসিন (Climycin), ক্লিনেক্স (Clinex), ক্লিওসিন (Cleocin), ক্লিনসিন (Clincin), ক্লিন্ডাব্যাক (Clindabac), ক্লিন্ডাবেন (Clindaben), ক্লিন্ডামেট (Clindamet), ড্যাকলিন (Daclin), ডালাটিক (Dalatic), লিনকোসিন (Lincocin), লিন্ডামেক্স (LIndamax), কিউসিন (Qcin) ইত্যাদি।
ক্লিন্ডামাইসিন এর কাজ কি
Clindamycin অনেকগুলো ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমন যেমন, নিউমনিয়ার মতো পেলভিক প্রদাহী রোগ, মধ্য কর্ণের সংক্রমন, হাড়ের সংক্রমন এবং এন্ডোকার্ডাইটিসের বিরুদ্ধে দারুনভাবে কার্যকরী।
ক্লিন্ডামাইসিন শুধু ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমনের বিরুদ্ধে কার্যকরী তবে ভাইরাসের বিরুদ্ধে অকার্যকর।
ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ :- সেফিক্সিম – Cefixime
উপাদানঃ এনহাইড্রোয়াস সেফিক্সিম
Cefixime সেফিক্সিম হলো তৃতীয় প্রজন্মের একটি সেফালোসপরিন অ্যান্টিবায়োটিক।
এটি একটি বিস্তৃত বর্ণালির অ্যান্টিবায়োটিক যা সাধারণত কান, মূত্রনালি, শ্বসনতন্ত্রের সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
এটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-এর জরুরি ওষুধের তালিকায় স্থান পেয়েছে। সেফিক্সিম Cefixime জেনেরিকের কিছু উদারহন হলোঃ
সেফ ৩ (Cef-3), ওডাসেফ (Odacef), ডুরাসেফ (Duracef), টি সেফ (T-cef), রফিক্সিম (Rofixim), এফিক্স (Afix), বেস্টসেফ (Bestcef), ডেনভার (Denvar), সিবেক্স (Cibex), সেফ প্লাস (Cef plus), সেফিম-৩ Cefim-3), সেফটিড (Ceftid), সেফোরাল (Cephoral), ডিফিক্স Defix), ইমিক্সসেফ (Emixef), ফিক্স এ (Fix-A), ফিক্সব্যাক (Fixbac), ওরসেফ (Orcef), রক্সিম (Roxim) ইত্যাদি।
সেফিক্সিম এর কাজ কি
Cefixim যেসব সংক্রমনের চিকিৎসায় ভালো কাজ করে সেগুলো হলো অসম্পূর্ণ মূত্রনালির সংক্রমন,কানের ওটিসিস মিডিয়া, গলার টিনসিলাইটিস ও ফ্যারিনজাইটিস দ্বারা সংক্রমন, দীর্ঘস্থায়ী ব্রংকাইটিস, নিউমোনিয়া, গনোরিয়া, ত্বক ও নরম টিস্যুর সংক্রমনে Cefixim অসাধারণ কাজ করে।
ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ :- সেফুরক্সিম – Cefuroxime
উপাদানঃ সেফুরক্সিম এক্সেটিল বিপি
সেফুরোক্সিম Cefuroxim একটি ২য় প্রজন্মের সেফালোস্পোরিন গ্রুপের বিটা-ল্যাক্টাম অ্যান্টিবায়োটিক।
এটি বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া জাতীয় সংক্রমণ সারানোর জন্য ব্যবহার করা হয়।
সেফুরোক্সিম ব্লাড-ব্রেইন-ব্যারিয়ার অতিক্রম করতে পারে যা অন্যান্য সেফালোস্পোরিন পারে না।
Cefuroxim জেনেরিকের বিছু বানিজ্যিক প্রোডাক্টের উদাহরন হলোঃ
এক্সিসেফ (Axicef), এক্সিম (Axim), সেফোটিল (Cefotil), সেরক্স এ (Cerox-A), ফ্যামিসেফ (Famicef), এডেটিল (Adotil), এক্সিবিড (Axibid), সেফোব্যাক (Cefobac), ফিক্সসেফ (Fixcef), ফুরেক্স (Furex), ফিউরোসেফ (Furocef), ফিউরোটিল (Furotil), ফুক্সটিল (Fuxtil), কিলব্যাক (Kilbac), কিলম্যাক্স (Kilmax), রফুরক্স (Rofurox), রক্সিব্যাক (Roxibac), রক্সিল্যাব (Roxilab), সেফুর (Cefur), টার্বোসেফ (Turbocef), জিনারক্স (Xinarox) ইত্যাদি।
সেফুরক্সিম এর কাজ কি
এটি বিভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া জাতীয় সংক্রমন এর বিরুদ্ধে কার্যকরী। একমাত্র সেফুরক্সিম ব্লাড ব্রেইন ব্যারিয়ার অতিক্রম করতে পারে যা অন্য সেফালোস্পোরিন পারে না।
সেফুরক্সিম কর্ণ প্রদাহ, মূত্রনালির প্রদাহ, সাইনুসাইটিস, ফ্যারিআটিস, গনোরিয়া এবং ব্রংকাইটিসের সংক্রমনে সচরাচর ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ :- সেফটিবিউটেন – Ceftibuten
উপাদানঃ সেফটিবিউটেন ডাইহাইড্রেট আইএনএন
সেফটিবুটেন Ceftibuten একটি তৃতীয় প্রজন্মের সেফালোস্পোরিন অ্যান্টিবায়োটিক।
এটি একটি মৌখিকভাবে পরিচালিত এজেন্ট, যার দুটি ডোজ ফর্ম, ক্যাপসুল বা ওরাল সাসপেনশন।
আলাদা নামে কয়েকটি কোম্পানির সেফটিবিউটেন বাজারে পাওয়া যায়, যেমনঃ
ইনবিউটেন (Inbuten), সেবুটেন (Cebuten), সেফটিবেন (Ceftiben), সেফাম্যাক্স (Cefamax), বুটিব্যাক (Butibac), বুটিসেফ (Buticef), সেবুম্যাক্স (Cebumax), সেফটোরিল (Ceftoril), লজিব্যাক (Logibac), ম্যাক্সবুটেন (Maxbuten), ওডিটেন (Oditen), জোভেন্টা (Zoventa) ইত্যাদি আরোও অনেক।
সেফটিবিউটেন এর কাজ কি
এটি গুরুতর ব্যাকটেরিয়াল সংক্রনের দ্রুত কাজ করে। Ceftibuten সংবেদনশীল ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ধ্বংস করে।
ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ :- কেটোরোলাক ট্রোমেথামিন – Ketorolac Thrometharmine
উপাদানঃ কেটোরোলাক ট্রোমেথামিন ইউএসপি
কিটোরোলাক ট্রোমিথামিন Ketorolac নন-স্টেরয়ডাল অ্যান্টিইনফ্ল্যামাটোরি ড্রাগ (NSAID) যা হেটারোসাইক্লিক অ্যাসেটিক অ্যাসিড থেকে উদ্ভূত।
কেটোরোলাক ব্যথানাশক ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হয়। সিনটেক্স কর্পোরেশন যা বর্তমানে বায়োসাইন্স নামে পরিচিত।
প্রথম ১৯৮৯ সালে কেটোরোলাক তৈরি করে। তাদের ব্র্যান্ড নাম ছিল টোরাডল।
১৯৯২ সালে আমেরিকার খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন চোখের ড্রপ অনুমোদন করে যা অ্যালারগ্যান কোম্পানি প্রথম তৈরি করে।
২০১০ সালের ১৪ই মে কিটোরোলাক নাকের স্প্রে অনুমোদিত হয়।কিটোরোলাক প্রোস্টাগ্লান্ডিন সংশ্লেষণ বন্ধ করে ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
আমাদের দেশে বহুল ব্যবহৃত কেটোরোলাক জেনেরিকের ওষুধ গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলোঃ
রোলাক (Rolac), এনালাক (Analac), টোরাক্স (Torax), ওরাডল (Oradol), টোরাডোলিন (Toradolin), টোরাম্যাক্স (Toramax), জিডোলাক (Xidolac), উইনপ (Winop), টোডল (Todol), কেটোলাক (Ketolac), জিরোপেইন (Zeropain), একুপেইন (Acupain) ইত্যাদি।
কেটোরোলাক এর কাজ কি
ব্যথানাশক হিসাবে কেটোরোলাক ব্যাপক পরিচিত। Ketorolac মাঝারি থেকে গুরুতর ব্যথায় খুব সক্রিয়ভাবে কাজ করে। এটি নিয়ে বেশী কিছু বলার দরকার আছে বলে মনে হয় না।
ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ :- মন্টিলুকাস্ট – Montelukast
উপাদানঃ মন্টিলুকাস্ট সোডিয়াম ইউএসপি
Montelukast মন্টিলুকাস্ট একটি লিউকোট্রিয়েন রিসেপ্টর অ্যান্টাগনিস্ট (LTRA) যা অ্যাজমা ও অ্যালার্জির চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়।
এই জেনেরিকের ঔষধ দিনে একবার খাবার আগে বা পরে সেবন করা যায়। বাংলাদেশে প্রচলিত মন্টিলুকাস্ট গুলোর নাম হলোঃ
মোনাস (Monas), এরোন (Aeron), এরোকাস্ট (Arokast), মনটেয়ার (Montair), মনটিন (Montine), রিভার্সেয়ার (Reversair), ট্রাইলক (Trilock), মনোকাস্ট (Monokast), মন্টিল্যাব (Montilab), মনটিনেক্স (Montinex), জাইফ্লো (Xyflo), এয়ারমাউন্ট (Airmount), এরোভেন্ট (Arovent), ফ্রিজেষ্ট (Freegest), লুমেন্টা (Lumenta), লমুনা (Lumona), এমকাষ্ট (M-kast), এমলুকাস (M-lucas), মন্টেলা (Montela), মনটেক্স (Montex), মন্টিফাষ্ট (Montifast), মন্টিভা (Montiva), ওডমন (Odmon), প্রোভেয়ার (Provair), টেলুকাষ্ট (Telukast), ভেনটেয়ার (Ventair) ইত্যাদি।
মন্টিলুকাস্ট এর কাজ কি
এজমা ও এলার্জির চিকিৎসায় মন্টিলুকাস্টের সফল ব্যবহার সর্বজন স্বীকৃত।
এজমা, এলার্জিক রাইনাইটিস, আটিকেরিয়া, প্রাইমারী ডিসমেনোরিয়া ইত্যাদি রোগের চিকিৎসায় মন্টিলুকাস্ট সমান কার্যকরী।
ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ :- ভরিকোনাজল – Voriconazole
উপাদানঃ ভরিকোনাজল ইউএসপি
ভরিকোনাজোল Voriconazole কয়েক টি গুরুতর ফাঙ্গাল সংক্রমণের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় ।
তার মধ্যে একটি হল আক্রমণাত্মক অ্যাসপারগিলোসিস এর সংক্রমণ । যা আপনার ফুসফুসে শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে রক্তের প্রবাহের মাধ্যমে অন্যান্য অঙ্গে ছড়িয়ে পড়ে।
ভরিকোনাজল খাদ্যনালীর ক্যাডিয়াসিয়াসিস এর চিকিৎসায় ব্যবহার হয় । যা এমন একটি সংক্রমণ,এটি আপনার মুখের এবং গলাতে সাদা প্যাচ সৃষ্টি করে।
এছাড়া, চামড়া, কিডনি, পেট, মূত্রাশয় এর ক্ষতগুলির সংক্রমণগুলিও ভরিকোনাজোল Voriconazole দ্বারা নিরাময় করা যেতে পারে।
বাজারে প্রচলিত কিছু ভরিকোনাজল গ্রুপের ওষুধের নাম হলোঃ
ভরি (Vori), ভিভোরি (Vivori), ভরিফাষ্ট (Vorifast), ভরিফেন্ড (Vorifend), ক্যান্ডিকন (Candicon), ক্যানভো (Canvo), ইলাজল (Elazol), ভিফেন্ড (Vifend), ভিয়েরা (Viera), ভোনাজল (Vonazole), ভরিকন (Voricon), ভরিডার্ম (Voriderm), ভরিনক্স (Vorinox), ভরিটেক (VoriTec), ভরিজল (Vorizole), জলভো (Zolvo) ইত্যাদি।
ভরিকোনাজল এর Voriconazole কাজ কি
ভরিকোনাজোল Voriconazole ফুসফুসের সংক্রমণের চিকিৎসায় বা ছত্রাকের অ্যাসপারগিলাস স্ট্রেন দ্বারা সৃষ্ট প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় ব্যবহৃত হয়।
ভরিকোনাজোল Voriconazole ছত্রাকের Candid স্ট্রেন দ্বারা সৃষ্ট রক্তের সংক্রমণের চিকিৎসায় দ্রুত কাজ করে।
ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ :- কোএনজাইম কিউ ১০ – Coenzyme q 10
উপাদানঃ ইউবিডেকারেনন
কোএনজাইম কিউ, ইউবিকুইনোন নামেও পরিচিত, একটি কোএনজাইম পরিবার যা প্রাণী এবং বেশিরভাগ ব্যাকটেরিয়ায় কার্যকরী।
কোএনজাইম কিউ ১০ Coenzyme Q 10 এর কাজ কি
ইহা কো-এনজাইম কিউ১০ এর ঘাটতি এবং মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিসঅর্ডারে নির্দেশিত।
কার্নাইটাইন অভাব
পেশী সম্পর্কিত রোগ
চিকিত্সা এবং statin ইনডিউসড পেশির ব্যাখ্যা প্রতিরোধ
নার্ভ এর সাথে সম্পর্কিত রোগ
মাইগ্রেনের এর ত্রাণ
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য প্রচার
উচ্চ রক্তচাপের উপরি চিকিত্সা
প্রাথমিক কার্নটাইন অভাব
সুস্থ রক্তচাপ প্রচার
হৃদযন্ত্রের শিশু এবং শিশুদের প্রভাবিত করে
এ ছাড়াও এটা অন্যান্য ঔষধের সাথে কনজেসটিভ হার্ট ফেলিওর, মায়োকার্ডিয়াল ইনফার্কসন, উচ্চ রক্তচাপ (হাইপারটেনশন), মাইগ্রেন হেডেক ও পারকিনসন ডিজিজ প্রতিরোধে এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা, পুরুষের ইনফার্টিলিটি ও মাস্কুলার ডিসট্রোফি উন্নতি করতে ব্যবহৃত হয়।
ইউবিডেকারেনন গ্রুপের কিছু প্রসিদ্ধ ওষুধের নাম হলোঃ
কারডি কিউ (Cardi Q), কোকিউ (Co Q), কোজাইম (Qozyme), ডেকারেন (Decaren), অক্সি কিউ (Oxi Q), কিউ১০ (Q 10), ইউবিকিউ (Ubi Q), ইউবিকেয়ার (Ubicare) ইত্যাদি।
ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ :- টেলমিসারটান – Telmisartan
উপাদানঃ টেলমিসারটান
টেলমিসারটান (Telmisartan) উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় । যা জেনেটিক / অথবা পরিবেশগত কারণগুলির কারণে রক্তচাপ বৃদ্ধি করে। টেলমিসারটান (Telmisartan) একটি ঔষধ যা এঞ্জিওটেনসিন রিসেপটর ব্লকার বা এআরবি হিসাবেও পরিচিত।
টেলমিসারটান – Telomisartan এর কাজ কি
এই ঔষধ উচ্চ রক্তচাপ বা উচ্চ রক্তচাপের চিকিত্সা করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি হৃদরোগ, স্ট্রোক এবং হার্ট অ্যাটাকের মতো অবস্থার ঝুঁকি কমাতে রোগীদেরকেও দেওয়া হয়। এনজিওটেসটিন এর প্রভাব ব্লক করে টেলমিসারটান (Telmisartan) কাজ করে ।
এটা অ্যাঙ্গিয়োটেন্সিন দ্বিতীয় হরমোন দ্বারা একটি রিসেপটর সক্রিয়করণকে বাধা দেয়, যার কারনে রক্তচাপ সামান্য বৃদ্ধি পায়, যখন এটি কম হয়।
এটি রক্তবর্ণের পেশীগুলোকে প্রশমিত ও শিথিল করে রক্ত চাপ কমিয়ে দেয়। এটি আপনার কিডনিকে জল এবং লবণের অতিরিক্ত নিষ্কাশন করতে সক্ষম করে। টেলমিসারটান গ্রুপের বিখ্যাত কোম্পানি গুলোর বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নাম গুলো হলোঃ
আরবিটেল (Arbitel), মিটোসান (Mitosan), প্রিসার্ট (Presart), টেলকার্ডিস (Telcardis), টেলিশা (Telisa), টেলমা (Telma), টেলমিফাষ্ট (Telmifast), টেলমিলক (Telmilock), টেলমিপ্রেস (Telmipress), টেলমিটান (Telmitan), টেলপ্রো (Telpro), টেলসান (Telsan) ইত্যাদি।
ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ :- এমলোডিপিন – Amlodipine
উপাদানঃ এমলোডিপিন
এমলোপিন ১,৪ ডাই-হাইড্রো-পাইরাডিন প্রজাতির একটি ক্যালসিয়াম চ্যানেলের প্রতিবন্ধক এজেন্ট। এ্যামলোডিপিনের কার্যকারিতা দীর্ঘক্ষন থাকে।
এমলোডিপিন – Amlodipine কাজ কি
অ্যামলোডিপাইন (Amlodipine) ক্যালসিয়াম চ্যানেল ব্লকার হিসাবে কাজ করে যা রক্তবাহী বাহক গুলিকে প্রসারিত করে রক্ত প্রবাহ উন্নত করে।
এটি এঙ্গিনা উচ্চ রক্তচাপ এবং করোনারি হৃদরোগের জন্য ব্যবহার করার। অন্যান্য ঔষধগুলি কাজ করতে ব্যর্থ হলে হৃদয় ব্যর্থতা ক্ষেত্রে এটির সুপারিশ করা হয়।
এমলোডিপিন জেনেরিকের বিভিন্ন ব্র্যান্ডের ওষুধ গুলোর নাম হলোঃ
এমডোকাল (Amdocal), এমলো (Amlo), এমলোকার্ড (Amlocard), এমলোহিল (Amlohil), এমলোপিন (Amlopin), এমলোসান (Amlosan), এমলোট্যাব (Amlotab), এমলোভাস (Amlovas), এমোকাল (Amocal), সিভিনর (Civinor), ক্যাব (Cab), ক্যালচেক (Calcheck), ক্যালপিন (Calpin), ক্যালভাস্ক (Calvask), ক্যামলোডিন (Camlodin), কার্ডিপিন (Cardipin), লোকার্ড (Locard), লডিক্যাল (Logical), লোপিন (Lopin), এমকার্ড (Amcard), ভাসোপিন (Vasopin), ভাসোকল (Vasocol), জেলকার্ড (Xelcard) ইত্যাদি।
ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ :- লাইনজোলিড – Linezolid
উপাদানঃ লাইনজোলিড
লাইনজোলিড (Linezolid) অক্সিজোলিডিনোন অ্যান্টিবায়োটিক নামে পরিচিত জৈব যৌগের একটি গোষ্ঠীর অন্তর্গত। সর্বাধিক গ্রাম-ইতিবাচক ব্যাকটেরিয়া নিরাময় ব্যবহারের জন্য এটি টিবারকুলোসিসের চিকিত্সার জন্যও উপকারী।
লাইনজোলিড – Linezolid এর কাজ কি
ব্যাকটেরিয়া সেপ্টিসেমিয়া (Bacterial Septicemia)
লাইনজোলিড (Linezolid) কে সেপটিসিমিয়া চিকিতসার জন্য ব্যবহার করা হয় যা সংক্রমণ এর স্টাফিলোকোকসি এবং স্ট্রেপ্টোকোকাস পিজোজেন দ্বারা সৃষ্ট রক্ত।
নিউমোনিয়া (Pneumonia)
লাইনজোলিড (Linezolid) নিউমোনিয়া চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় যা স্ট্রিপ্টোকোকাস নিউমোনিয়া, হেমোফিলাস ইনফ্লুয়েঞ্জা দ্বারা সৃষ্ট ফুসফুস সংক্রমণের সবচেয়ে সাধারণ প্রকার।
চামড়া এবং গঠন সংক্রমণ (Skin And Structure Infection)
লাইনজোলিড (Linezolid) টিআরটি এবং স্ট্র্যাপোকোকাস পিয়োজেনেস এবং স্টাফাইলোকোকাস অরেয়াসের কারণে চামড়া ও গঠন সংক্রমণের চিকিত্সায় ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে এম আর এস এ প্রজাতির । লাইনজোলিড জেনেরিকের বিভিন্ন ব্র্যান্ড নাম গুলো হলোঃ
লিনজোলিড (Linzolid), আরলিন (Arlin), ইজোলিড (Ezolid), লিনেক্সিল (Linoxil), লিনেজ (Linez), লিনলিড (Linzid), লিনভক্স (Linvox), লিজেন (Lizen), অক্সালিড (Oxalid), জলিভক্স (Zolivox) ইত্যাদি।
ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ :- সিপ্রোফ্লোক্সাসিন – Ciprofloxacin
উপাদানঃ সিপ্রোফ্লোক্সাসিন
Ciprofloxacin একটি সিনথেটিক কেমোথেরাপিউটিকএজেন্ট যা জীবনহরনকারি কিছু ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াল ক্ষত নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হয়। ফ্লুরোকুইনোলন পরিবারের ১টি ব্যাকটেরিয়া রোধি ঔষধ হিসেবে এর ব্যবহার।
২য় প্রজন্মের এই এন্টিবায়োটিক সারা বিশ্বে ৩০০ এর বেশি কোম্পানি এটি বিভিন্ন নামে বাজারজাত করছে। বাংলাদেশের বাজারে এটি বিভিন্ন নামে পাওয়া যায় যেমনঃ
সিপ্রোসিন (Ciprocin), সারভিনাপ্রক্স (Cervinaprox), ফ্লনটিন (Flontin), সিপ্রো (Cipro), কেপ্রন (Kepron), এনসিপ্রো (Ancipro), এপ্রোসিন (Aprocin), ব্যাকটিন (Bactin), বিউফ্লক্স (Beuflox), সিলোসিন (Cilocin), সিপসিন (Cipcin), সিপলন (Ciplon), সিপ্রো-এ (Cipro-A), সিপ্রোসল (Ciprosol), সিপ্রোজিড (Ciprozid), সিভক্স (Cevox), ফ্লোক্সাবিড (Floxabid), ফ্লোক্সাসিন (Floxacin), নিউফ্লক্সিন (Neofloxin), কুইনক্স (Qunox), রোসিপ্রো (Rocipro) ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়। এর ২৫০ মিলিগ্রাম, ৫০০ মি.গ্রা.ও ৭৫০ মি.গ্রা. ৩ মাত্রার ট্যাবলেট, সিরাপ, ইনজেকশন ফরমে পাওয়া যায়। সিপ্রোফ্লোক্সাসিন জাতীয় ওষুধ পশুর জন্যও পাওয়া যায়।
সিপ্রোফ্লোক্সাসিন এর কাজ কি
ব্যাকটেরিয়াল ডিএনএ নিয়মিত সংশ্লেষণকে বাধা দেয়, যা তাদের কোষ বিভাগের প্রক্রিয়াটিকে বাধা দেয়। অতএব, এটি সংক্রমণ সৃষ্টিকারী বিদ্যমান ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে এবং এটি বৃদ্ধির বাধা দেয় নতুন ব্যাকটেরিয়া।
একটি অ্যান্টি-বায়োটিক, যা ফ্লুরোকুইনোলোন পরিবারের সদস্য। এটা ব্যাকটেরিয়া দ্বারা সৃষ্ট সংক্রমণ বিরুদ্ধে যুদ্ধ সাহায্য করে।
এটি নিউমোনিয়া, শ্বাসযন্ত্র বা মূত্রনালীর সংক্রমণ, গনোরিয়া, অ্যানথ্রাক্স, গ্যাস্ট্রেনেন্টারাইটিস এবং পাশাপাশি সাইনাস, হাড়, চামড়া এবং সংক্রমণের সংক্রমণ সহ গুরুতর ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি septicemic প্লেগ চিকিত্সার ক্ষেত্রে কার্যকর।
ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ :- এমোক্সোসিলিন – Amoxicillin
উপাদানঃ এমোক্সোসিলিন
Amoxicillin (আইএনএন), পূর্বেকার অ্যামোক্সিসিলিন (বিএএন), এবং সংক্ষেপে এমোক্স হচ্ছে একটি মধ্যম পরিসরের (moderate-spectrum) ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী (ব্যাক্টেরিওলাইটিক/bacteriolytic) বিটা-ল্যাক্টাম অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ।
এমোক্সিসিলিন সাধারণত ব্যাকটেরিয়া জাতীয় সংক্রমণের জন্য দায়ী জীবাণুর উপর ব্যবহার করা হয়। মুখে খাওয়া অন্য বিটা-ল্যাক্টাম অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ শ্রেণীর মধ্যে এটি প্রথম পছন্দের (drug of choice) তালিকায় পড়ে।
Amoxicillin শিশুদের জন্য একটি অন্যতম সাধারণ নির্দেশিত অ্যান্টিবায়োটিক। বাংলাদেশে বহুল প্রচলিত মোক্সাসিল (Moxacil) নামে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড বাজারে ছেড়েছে, এছাড়াও
এএমএক্স (AMX), এমোসিন (Amocin), এমোটীড (Amotid), এমোক্সি Amoxi), এমোক্সোন (Amoxcon), এপোক্সি (Aproxi), এরিস্টমক্স (Aristomox), এভলোমক্স (Avlomox), ডেমোক্সিল (Demoxil), ফাইমক্স (Fimox), ফাইমক্সিল (Fimoxil), মক্সিলিন (Moxilin), মক্সিন (Moxin), ওরিক্সিল (Orixil), সিনামক্স (Sinamox), এসকেমক্স (Skmox), টাইসিল (Tycil) ইত্যাদি নামে Amoxicillin পাওয়া যায়।
এমোক্সিসিলিন এর কাজ কি
পেনিসিলিন অ্যান্টিবায়োটিক হওয়ার কারণে, অ্যামক্সিসিলিন ৫০০ এম জি ক্যাপসুল (Amoxycillin 500 MG Capsule) ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসা করে।
এই ওষুধটি ব্যাকটেরিয়ার কোষ প্রাচীরের সংশ্লেষণে হস্তক্ষেপ করে এবং ব্যাকটেরিয়ার পুনরায় বৃদ্ধিকে ব্যাহত করে।
এটি ফুসফুস এবং বায়ু চলাচলের পথ, ত্বক, কানের মধ্যবর্তী জায়গা, সাইনাস এবং মূত্রনালীর সংক্রমণের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়।
এই ওষুধটি টনসিলাইটিস, নিউমোনিয়া, ব্রঙ্কাইটিস এবং গনোরিয়া জাতীয় সংক্রমণেরও চিকিৎসা করে। এই ওষুধটি যখন অ্যান্টিবায়োটিক ক্ল্যারিথ্রোমাইসিনের সাথে ব্যবহার করা হয়, তখন এটি পেটের মধ্যে হওয়া আলসারকে দমন করে।
ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ :- এমোক্সিসিলিন + ক্ল্যাভুল্যানিক এসিড – Amoxicillin + Clavulanic Acid
উপাদানঃ
এমোক্সিসিলিন+ ক্ল্যাভুল্যানিক এসিড (ক্ল্যাভুলেনেট)
Amoxicillin + Clavulanic Acid Tablet নিম্নলিখিত ২ টি সক্রিয় উপাদান দ্বারা গঠিত। একটি হলো Amoxicillin অপরটি হলো Clavulanic Acid।
এমোক্সিসিলিন + ক্ল্যাভুল্যানিক এসিড – Amoxicillin + Clavulanic Acid এর কাজ কি
ঔ নিম্নলিখিত রোগের উপসর্গ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
নিম্নতর শ্বাস নালীর সংক্রমণ
মূত্রনালীর সংক্রমণ
ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ
কর্ণশূল মিডিয়া
সাইনাসের প্রদাহ
স্কিন এবং ত্বক গঠন সংক্রমণ
এমোক্সোসিলিন + ক্ল্যাভুল্যানিক এসিড জেনেরিকের প্রচলিত কিছু ব্র্যান্ড নাম হলোঃ
আরনোক্ল্যাভ (Arnoclav), এপোক্সিক্ল্যাভ (Apoxiclav), ওগমেন্ট (Ogment), এভলোক্ল্যাভ (Avloclav), বায়োক্লাভিড (BIoclavid), ক্লাসিডো (Clacido), ক্লামক্স (Clamox), ডেমক্সিক্ল্যাভ (Demoxiclav), ফাইমক্সিক্ল্যাভ (Fimoxyclav), মক্সাক্ল্যাভ (Moxaclav), ট্যাইক্ল্যাভ (Tyclav), অনক্ল্যাভ (Onclav), আলট্রাক্ল্যাভ (Ultraclav) ইত্যাদি।
ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ :- টাইমনিয়াম মিথাইলসালফেট – Tiemonium Methylsulphate
উপাদানঃ টাইমনিয়াম মিথাইলসালফেট
Tiemonium Methylsulphate একটি এন্টিস্পোজমোডিক ওষুধ। ইহা ক্ষুদ্রান্ত, বিলিয়ারি সিস্টেম, মুত্রথলি এবং জরায়ুর মাংসপেশির স্পাজম হ্রাস করে। টাইমােনিয়াম মিথাইলসালফেট একটি এন্টিস্পাজমােডিক ঔষধ। ইহা পরিপাকতন্ত্র, বিলিয়ারী সিস্টেম, ইউটেরাস ও মূত্রথলীর পেশীর সংকোচনকে শিথিল করে। ইহা গ্যাস্ট্রোএন্ট্রাইটিস, ডায়রিয়া, ডিসেন্ট্রি, বিলিয়ারী কলিক, এন্টারােকোলাইটিস, কলিসিস্টাইটিস, কোলােনােপ্যাথী, সিসটাইটিস এবং স্পাজমােডিক ডিসমেনােরিয়াতে নির্দেশিত।
টাইমনিয়াম মিথাইলসালফেট এর কাজ কি
টাইমােনিয়াম মিথাইলসালফেট একটি এন্টিস্পাজমােডিক ঔষধ। ইহা পরিপাকতন্ত্র, বিলিয়ারী সিস্টেম, ইউটেরাস ও মূত্রথলীর পেশীর সংকোচনকে শিথিল করে। ইহা গ্যাস্ট্রোএন্ট্রাইটিস, ডায়রিয়া, ডিসেন্ট্রি, বিলিয়ারী কলিক, এন্টারােকোলাইটিস, কলিসিস্টাইটিস, কোলােনােপ্যাথী, সিসটাইটিস এবং স্পাজমােডিক ডিসমেনােরিয়াতে নির্দেশিত।
বাংলাদেশের প্রায় বেশীর ভাগ ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানীর এই টাইমোনিয়াম মিথাইলসালফেট জেনেরিকের ওষুধ বিভিন্ন নামে বাজারে পাওয়া যায়। যার মধ্য উল্লেখযোগ্য হলো, এলজিন (Algin), নরভিস (Norvis), ওনিয়াম (Onium), পেনিয়াম (Panium), টিমোথি (Timothy), টিমোজিন (Timozin), টিনিয়াম (টিনিয়াম), ভিসেরালজিন (Viseralgine), ভিসেট (Viset), ভিসোনিয়াম (Visonium), ভিসরাল (Visral), জেলকম (Xelcom) ইত্যাদি।
ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ app এবং apk ডাউনলোড
Dims এন্ড্রোয়েড এপসটি সরাসরি গুগল প্লে ষ্টোর থেকে ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নেওয়া যায়। ঔষধের নাম ও কাজ জানার জন্য এটিই এখন পর্যন্ত সবথেকে বেশী ব্যবহৃত ও বিশ্বস্ত app।
তবে যদি কারোও এন্ড্রোয়েড ফোনে গুগল প্লে ষ্টোর সাপোর্ট না করে তাহলে নিচের লিংক থেকে ঔষধের নাম ও কাজ জানার apk ফাইল ডাউনলোড করে ইন্সটল করে নিতে পারবেন।
প্লে ষ্টোর থেকে ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ জানার app ডাউনলোড লিংক
সঠিকভাবে ঔযধের জেনেরিক নাম ও কাজ ,ডোজ,প্যাকিং সাইজ এবং মূল্য জানার জন্য dims একটি কার্যকরী এপস।
Dims app download link
এন্ড্রোয়েড ফোনে গুগল প্লে ষ্টোরের এই লিিংক থেলে dims app download করে ইন্সটল করতে হবে।
সঠিক ব্যবহার করতে জানলে এই এপসটির দ্বারা ঔষধ সংক্রান্ত অনেক গুরত্বপূর্ণ তথ্য জানা যায়।
সেকারনেই এটি একটি কাজের এপস। নিম্নে dims app download এবং এর ব্যবহারের নিয়ম বর্ননা করা হলো
প্লে ষ্টোর ছাড়াই ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ জানার apk download লিংক
প্লে ষ্টোর না থাকলে বা কোন কারনে প্লে ষ্টোর থেকে ইন্সটল করতে না পারলে ঔষধের নাম ও কাজ apk তথা dims app download করে ইন্সটল করে নিতে পারবেন।
ঔষধের নাম ও কাজ apk ব্যবহার করার আরেকটা সুবিধা হলো আপনি আপনার পছন্দমাফিক ভার্সন বেছে নিয়ে ইন্সটল করতে পারবেন।
ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ apk কিভাবে ব্যবহার করা যায়
এন্ড্রোয়েড ফোনে এই এপসটি খুব সহজেই ব্যবহার করা যায়। তবে তার জন্য এপসটিতে ইউজার হিসাবে কিছু তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে।
নতুন ইউজার হলে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আর আগে থেকে মোবাইল নাম্বার দিয়ে একাউন্ট তৈরি করা থাকলে শুধুমাত্র লগিন করেই DIMS app ব্যবহার করা যাবে।
DIMS app থেকে বাংলাদেশে প্রচলিত ঔষধ গুলোর বিস্তারিত বিবরন, কাজ, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, ডোজ এবং মূল্য জানতে পারবেন।
এছাড়াও এই এপসটির দ্বারা একটি জেনেরিকের সব গুলো ব্র্যান্ড নাম একসাথে দেখতে পাবেন।
DIMS এপসের সার্চ অপশনে Brand, Generic, Indication, Herbal নামের ৪ টি আলাদা ট্যাব দেখতে পাবেন।
Brand সিলেক্ট করে রেখে সার্চ বক্সে কোন ঔষধের নাম লিখে সার্চ দিলে প্রত্যাশিত ঔষধটির বিস্তারিত বিবরন পাওয়া যাবে। এখানেই others brands নামে একটি ট্যাব পাওয়া যাবে।
এখানে ক্লিক করলে ওই জেনেরিকের অন্য সব কোম্পানির ব্র্যান্ড নামগুলো চলে আসবে।
Generic ট্যাব সিলেক্ট করে কোন জেনেরিক নামের অদ্যক্ষর লিখতে শুরু করলে ঔষধের অনেক গুলো জেনেরিক নামের তালিকা ভেসে উঠবে।
একটি জেনেরিক নাম সিলেক্ট করলে ওই জেনেরিকের সবগুলো ব্র্যান্ড নাম দেখতে পাবেন।
শেষকথা
কোম্পানি বা ব্র্যান্ড যেটাই হোক ঔষুধের জেনেরিক নাম মিল রেখে ঔষুধ সেবন করতে কোন বাধা নেই। আধুনিক বিশ্বে চিকিৎসার ক্ষেত্রে রোগীর ব্যবস্থাপত্রে জেনেরিক নাম লেখা হয়ে থাকে। যদিও আমাদের দেশে এটি এখনো প্রচলিত নয়।
সেজন্যেই যদি ঔযধের জেনেরিক নাম ও কাজ এবং জেনেরিকের বিপরীতে ব্র্যান্ড নাম জানা থাকে তাহলে সকলেই উপকৃত হবে।
আর এই কাজটি খুব সহজভাবে ঔষধের জেনেরিক নাম ও কাজ apk এন্ড্রোয়েড ফোনে ইন্সটল করার মাধ্যমে করা যায়। শুধু dims app এর সঠিক ব্যবহার করে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান করা সম্ভব।
Comments are closed.