কে না চায় তার ফেসবুক প্রোফাইল বা পেজটিতে ভেরিফাই করা নীল ব্যাজটি দৃশ্যমান থাক।তাহলে আসুন ঝটপট জেনে নিই ফেসবুক ভেরিফাই করার নিয়ম।
ফেসবুক ভেরিফাই করার নিয়ম আছে ২ টি ।ভেরিফাই ব্যাজ পেতে আপনার পেজ বা ব্যক্তিগত প্রোফাইলের জন্য অনেকগুলো শর্ত ও মানদণ্ড পূরণ করতে হবে।
ভেরিফাই ব্যাজ আপনার ব্যক্তিগত বা ব্যবসার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ায়। যখন ব্যবহারকারীরা একটি পৃষ্ঠা বা প্রোফাইলে একটি ভেরিফাইড ব্যাজ দেখতে পান,
তখন এটি নিশ্চিত করে যে তারা একটি প্রকৃত সংস্থা বা ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করছে৷ যাচাই করা পৃষ্ঠা এবং প্রোফাইলগুলি সার্চ রেজাল্টেও ভাল অবস্থানে থাকে।
আপনি Facebook এ নীল বা ধূসর ভেরিফিকেশন ট্যাগ দেখতে পারেন। Facebook প্রোফাইল এবং পেজগুলিতে নীল ব্যাজ দেওয়া হয়, তবে ধূসর শুধুমাত্র ফেসবুক পেজগুলির জন্য।
ফেসবুক ভেরিফাই করার নিয়ম (Facebook verify identity)
ফেসবুক ভেরিফাই করা ওতোটা সহজ নয়,কারন এটা সাধারনদের জন্য নয়।
নীল ট্যাগ নির্দেশ করে যে পৃষ্ঠা বা প্রোফাইলের প্রকৃতি জনস্বার্থের।তাই নিদিষ্ট কিছু ক্যাটাগরিতে ফেসবুক ভেরিফাই করার সুবিধা প্রদান করে থাকে।
এজন্য আপনাকে ফেসবুক ভেরিফাই করার নিয়ম সঠিকভাবে মেনে একটি ভেরিফিকেশান ফর্ম পুরন করে সাথে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট আপলোড করে যাচাইয়ের জন্য সাবমিট করতে হবে।
আপনি যদি একজন পাবলিক ফিগার হন এবং Facebook-এ একটি ব্যক্তিগত প্রোফাইল ব্যবহার করেন, তাহলে এটিকে এজটি ফেসবুক পেজ এ রুপান্তর করে নেওয়া আপনার জন্য বেশী সুবিধার হবে।।
এটি আপনাকে অনেক বিশ্লেষণ এবং বিজ্ঞাপন সরঞ্জামগুলিতে প্রবেশাধিকার দেয়।
ফেসবুক ভেরিফাই ব্যাজের জন্য যোগ্য ক্যাটাগরি তালিকাভুক্ত করতে হবে।। এগুলি হল নির্বাচিত ব্র্যান্ড, মিডিয়া সংস্থা এবং সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব৷
১। সাংবাদিক
২। প্রিয় ব্র্যান্ড বা ব্যবসা
৩। সরকারী কর্মকর্তারা
৪। সেলিব্রেটি
৫। মিডিয়া
৬। বিনোদন
৭। ক্রীড়া সংস্থাগুলি
আপনার যদি এমন একটি ফেসবুক পেজ থাকে যা উপরের বিভাগ গুলির মধ্যে পড়ে, তাহলে আপনার ফেসবুক ভেরিফাই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
যদি আপনার পৃষ্ঠাটি নির্বাচিত বিভাগগুলির মধ্যে না থাকে।তাহলে শর্ত মেনে আপনার পেহটাকে সেইভাবে উপযুক্ত করে নিন।
ভেরিফিকেশন প্রক্রিয়া অনেক কারণের উপর নির্ভর করে, যেমন সম্পূর্ন একাউন্ট, নীতি মেনে চলা এবং জনস্বার্থ।ফেসবুক কখনোই অসূম্পুর্ন প্রোফাইল ভেরিভাইড করে না।
ফেসবুক ভেরিফাই করার পদ্ধতি
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল বা পেজটি ভেরিফিকেশনের যোগ্যতা রাখে কিনা তা আপনি নিজেই দেখে নিতে পারবেন।
যোগ্য হলে ভেরিফিকেশন ফর্মটি সতর্কতার সাথে সঠিকভাবে পুরন করতে হবে।
প্রথমে ফেসবুকে লগিন অবস্থায় শুধু Settings এ ক্লিক করুন।এরপরে, সাধারণ এবং পৃষ্ঠা যাচাইকরণ নির্বাচন করুন।
তারপর Verify this Page এ ক্লিক করুন।অথবা আপনি সরাসরি এই লিংক থেকে ভেরিফিকেশন ফর্ম পেজে প্রবেশ করতে পারেন।
ডিরেক্ট লিংক
ফেসবুক ভেরিফিকেশান ফর্ম পেজ
ফেসবুক প্রোফাইল ভেরিফিকেশন ফর্ম
দেশ, ভাষা এবং ফোন নম্বর লিখুন।
আপনার দেওয়া ফোন নাম্বারের ম্যাসেজে ৪ সংখ্যার কোড যাবে,ফর্মে সেই নাম্বার গুলো সঠিক ভাবে বসাতে হবে । তারপর, Continue-এ ক্লিক করুন।
আপনি অফিসিয়াল ডকুমেন্ট ব্যবহার করে পৃষ্ঠাটি যাচাই করতে পারেন যাতে কোম্পানির নাম এবং ঠিকানা রয়েছে।
Facebook তারপর আপনার আপলোড করা পাবলিক রেকর্ডের সাথে অনুরোধটি যাচাই করবে এবং কয়েক দিনের মধ্যে ফলাফল সম্পর্কে আপনাকে জানিয়ে দিবে।
আপনার বিষয়বস্তু পেশাদার হতে হবে. শুধু ছবির মানের ক্ষেত্রেই নয।আপনার ওয়েবসাইটের সাথে লিঙ্ক করা আপনার ফেসবুক পেজের একটি লিঙ্ক থাকা উচিত।
Facebook পেজ এবং প্রোফাইলে অবশ্যই একটি কভার এবং একটি প্রোফাইল ফটো এবং Facebook-এর নিয়ম মেনে একটি নাম থাকতে হবে।
ফেসবুক পেজের জন্য, ঠিকানা, ওয়েবসাইট, ইমেল, ফোন, পৃষ্ঠা বিভাগ, বায়ো, গল্প, পণ্য এবং পরিষেবার মতো সম্বন্ধে পৃষ্ঠায় সমস্ত তথ্য পূরণ করা গুরুত্বপূর্ণ।
ফেসবুক প্রোফাইল ভেরিফিকেশানের জন্য আপনার ন্যাশনাল আইডি কার্ডের নামের সাথে আপনার ফেসবুক আইডির নামের পরিপূর্ন মিল থাকতেই হবে।
কোন ত্রুটি বিচ্যুতি আপনার ফেসবুক প্রোফাইল লক বা ডিজেবল হয়ে যেতে পারে।
একইভাবে, আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে আপনার বিস্তারিত ব্যক্তিগত তথ্য থাকতে হবে এবং 2-facetor authnation চালু করে নিতে হবে।
ভেরিফিকেশানের জন্য আবেদন করার পূর্বে অবশ্যই উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ফ্যান ফলোয়ার থাকতে হবে।
অনেকে বলে থাকেন ভেরিফিকেশানের জন্য ফ্যান ফলোয়ারের সংখ্যাটা ১০ হাজার হতে হবে
এই ফর্মের সাথে যাচাইকরণের অনুরোধ পাঠানো যায়। প্রমান সরুপ ডকুমেন্ট এখানেই আপলোড করতে হবে।এখানে ডকুমেন্ট বলতে বুঝায়ঃ
১। ন্যাশনাল আইডি কার্ড
২। পাসপোর্ট
৩। জন্ম নিবন্ধন
৪। ব্যবসার ঠিকানা সম্বলিত প্রমানপত্র যেমন,ট্রেড লাইসেন্স
৫। ট্যাক্স সার্টিফিকেট
কেন আপনি আপনার ফেসবুক ভেরিফাই করতে চান সে সম্পর্কে আপনাকে দু চার বাক্য লিখতে হবে।।
আপনার ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কোন ওয়েব পেজ বা ওয়েবসাইট থাকলে, আপনাকে সেই ওয়েবসাইটের URL গুলো প্রদান করতে হবে।
Facebook আপনার অনুরোধ পর্যালোচনা করবে এবং নিদিষ্ট সময়ের মধ্য তাদের মতামত জানিয়ে দিবে।।
কোন কারনে আপনার পৃষ্ঠা বা প্রোফাইল ভেরিফাই সম্পন্ন না হলে, আপনি ৩০ দিন পরে এটির জন্য পুনরায় আবেদন করতে পারেন।
তবে সাবধান, ফেসবুক যেকোনো সময় আপনার নীল ট্যাগ মুছে ফেলতে পারে। অতএব, এটি পাওয়ার পরে, সমস্ত প্রয়োজনীয় নীতিগুলি অনুসরণ করা গুরুত্বপূর্ণ৷
কিভাবে একটি গ্রে ব্যাজ পেতে হয়
ধূসর ট্যাগ একটি কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের সত্যতা দেখানোর জন্য ব্যবহৃত একটি প্রতীক।
যদি আপনার Facebook পৃষ্ঠা স্থানীয় ব্যবসা, কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের ক্যাটাগরিতে থাকে, তাহলে এটি ভেরিফিকেশান ব্যাজ পাবার জন্য যোগ্য হতে পারে।
আপনি যোগ্য কিনা তা দেখতে আপনি আপনার Facebook সেটিংস চেক করতে পারেন।
শুধু Settings এ ক্লিক করুন। এরপরে, সাধারণ এবং পৃষ্ঠা যাচাইকরণ নির্বাচন করুন।
তারপর Verify this Page এ ক্লিক করুন।অথবা আপনি সরাসরি এই লিংক থেকে ভেরিফিকেশন ফর্ম পেজে প্রবেশ করতে পারেন।
ডিরেক্ট লিংক
ফেসবুক ভেরিফিকেশান ফর্ম পেজ
ফেসবুক পেজ ভেরিফিকেশন ফর্ম
দেশ, ভাষা এবং ফোন নম্বর লিখুন। আপনার দেওয়া ফোন নাম্বারের ম্যাসেজে ৪ সংখ্যার কোড যাবে,ফর্মে সেই নাম্বার গুলো সঠিক ভাবে বসাতে হবে । তারপর, Continue-এ ক্লিক করুন।
আপনি অফিসিয়াল ডকুমেন্ট ব্যবহার করে পৃষ্ঠাটি যাচাই করতে পারেন যাতে কোম্পানির নাম এবং ঠিকানা রয়েছে।
Facebook তারপর আপনার আপলোড করা পাবলিক রেকর্ডের সাথে অনুরোধটি যাচাই করবে এবং কয়েক দিনের মধ্যে ফলাফল সম্পর্কে আপনাকে জানিয়ে দিবে।
আপনি নিয়মিত মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি করুন, আপনার ব্র্যান্ড, আপনার অডিয়েন্স তৈরি করুন। এরপর আবার ভেরিফিকেশানের জন্য পূর্বের নিয়মে আবেদন করুন।
এগুলো ফেসবুককে তার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করতে অনুপ্রানিত করতে পারে এবং আপনাকে আপনার প্রোফাইল বা পেজ ভেরিফাইড করে দিতে পারে।
পরিশেষে
আপনার ফেসবুক প্রোফাইল বা পেজের নামের পাশে নীল বা ধূসর ব্যাজ আপনার বা আপনার প্রতিষ্টানের সত্যতা নিশ্চিত করে।সেজন্যই সঠিক নিয়মে ফেসবুক ভেরিফাই করার নিয়ম অনুযায়ী আপনার পেজ বা প্রোফাইল ভেরিফাই সম্পন্ন করতে পারলে অনলাইনে আপনার উপস্থিতি জানান দিতে বাড়তি সুবিধা পাবেন।