চাকরি প্রত্যাশীদের অবর্ণনীয় কষ্টের কথা বিবেচনা করে সরকারি বা স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির বিপরীতে চাকরির আবেদন ফি সরকার কর্তৃক নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।
এতোদিন অবশ্য স্ব স্ব প্রতিষ্ঠান নিজেদের ইচ্ছামতো নিয়োগ বিজ্ঞপির বিপরীতে আবেদন ফি গ্রহন করতো।
যার ফলে বেকার চাকরি প্রত্যাশীদের নাভিশ্বাস উঠে যেত। একে তো বেকারত্বের দায় অন্যদিকে চাকরির আবেদন কততে গেলেই নানান খরচে বেকার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠার দশা।
আকর্ষণীয় বেতনে ঔষধ কোম্পানিতে চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
কোন ধরা বাধা নিয়ম ছিল না বলে এ পর্যন্ত চাকরি প্রত্যাশী বেকার রা অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে আসছিলো।
সম্প্রতি ক্যাডার পদ বাদে সকল সরকারি মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর , স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্টানের চাকরির জন্য নতুন করে ফি নির্ধারণ করে প্রজ্ঞাপন জাতি করেছে।
কোন গ্রেডের আবেদন ফি কত টাকা
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ১৭ থেকে ২০ তম গ্রেডের জন্য ১০০ টাকা, ১৩ থেকে ১৬ তম গ্রেডের জন্য ২০০ টাকা, ১১ থেকে ১ ২ তম গ্রেডের জন্য ৩০০ টাকা, ১০ তম গ্রেডের আবেদন ফি ৫০০ টাকা আর। ৯ম গ্রেডের আবেদন ফি ৬০০ টাকা।
ডিআইজি হতে চাইলে কি কি যোগ্যতা লাগে জেনে নিন
এর বাহিরে চাকরির আবেদনের জন্য আর কোন ফি জমা দিতে হবে না বা এর সাথে আর কোন ভ্যাট বা ট্যাক্স প্রযোজ্য নয়।
চাকরির আবেদন ফি এর নতুন তালিকা
গ্রেড তালিকা | আবেদন ফি / পরীক্ষার ফি |
৯ম বা তদূর্ধ্ব গ্রেডের (নন-ক্যাডার) | ৬০০ টাকা |
১০ম গ্রেডে | ৫০০ টাকা |
১১ থেকে ১২তম গ্রেড | ৩০০ টাকা |
১৩ থেকে ১৬তম গ্রেড | ২০০ টাকা |
১৭ থেকে ২০তম গ্রেড | ১০০ টাকা |
চাকরির আবেদন এবং ফি কিভাবে জমা দেওয়া যাবে
সরকারি মোবাইল নেটওয়ার্ক সেবা দানকারী প্রতিষ্টান টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় সরাসরি চাকরির ক্ষেত্রে আবেদন এবং আবেদন ফি অনলাইনে জমা দেওয়া যাবে।
স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান গুলো নিজেদের ব্যাংক হিসাবে জমা নিতে পারবে।
যদি কোন কারনে অনলাইনে আবেদন গ্রহন করা না হয় তাহলে আবেদন ফির টাকা চালানের মাধ্যমে গ্রহন করা হবে।
আর স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান গুলো নিজেদের প্রয়োজনে ব্যাংক ড্রাফট বা পে অর্ডারের মাধ্যমে আবেদন ফির টাকা জমা নিতে পারবে।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, কোন ক্ষেত্রে আবেদন ফি বাড়ানো হয়নি বরং এটা সম্বন্বয় করা হয়েছে।
ইতিপূর্বে ৯ম ও দশম গ্রেডের জন্য চাকরির আবেদন ফি নেওয়া হতো এক থেকে দেড় হাজার টাকা।
প্রতিষ্ঠান ভেদে ইচ্ছামতো আবেদন ফি বসানো হতো। এখন থেকে অবশ্য সরকার নির্ধারিত চাকরির আবেদন ফি নেওয়ার প্রজ্ঞাপন কার্যকর হয়ে গেছে।
সরকারের এই আদেশের ফলে চাকরিপ্রত্যাশী রা এখন কিছুটা হলেও স্বস্তির নিশ্বাস ফেলবে।
একে তো মাথায় বেকারত্বের বোঝা তার উপর একের পর এক চাকরির আবেদন ফি ও ইন্টারভিউ এটেন্ড করার খরচ সামলাতে হিমশিম খেয়ে যেত।
সরকারের বেধে দেওয়া আবেদন ফির কারনে এখন সেটা কিছুটা লাঘব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কিভাবে লেনদেন হবে চাকরির আবেদন ফির টাকা
টেলিটক বংলাদেশ লিমিটেড পরিক্ষার ফি বাবদ ধার্যকৃত টাকা লেনদেন করবে।এজন্য প্রতিটি প্রতিষ্টানের নামে আলাদা কোড ব্যবস্থা থাকবে।
১৩ ডিজিটের প্রাতিষ্ঠানিক কোড ও ৭ ডিজিটের অর্থনৈতিক কোডের মাধ্যমে অটোমেটেড চালানে এই অর্থ সরকারী কোষাগারে জমা হবে।
কোন প্রতিষ্ঠান চাইলে ম্যানুয়াল চালানে আবেদন ফি জমা দিতে চাইলে ৪ অংক বিশিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কোড ও পরিচালনা কোড এবং অর্থনৈতিক কোড। (২০৩১) এ জমা প্রদান করা যাবে।
আরোও বিস্তারিত জানার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয় এর ওয়েবসাইটে প্রজ্ঞাপন টি দেখে নিন।
পরিশেষে
বেকার চাকরি প্রত্যাশি দের কথা বিবেচনা করে সরকার চাকরির আবেদন ফি নির্ধারণ করে দিয়ে চাকরি প্রত্যাশীদের কষ্ট কিছুটা লাঘব করে দিয়েছে।