বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার জন্য এখন শুধু bkash অ্যাপস ই যথেষ্ট। সকল অ্যাপস ব্যবহারকারীদের অ্যাপসে “লোন” অপশনটি যুক্ত করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে Bkash অ্যাপস ব্যবহারকারীরা নিজেরাই নিজেদের প্রয়োজন মতো ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত loan নিতে পারবে।
বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার উপায়
Bkash হচ্ছে দেশের সর্ব বৃহৎ ডিজিটাল অর্থ লেনদেন কারী প্রতিষ্টান।সম্প্রতি তারা গ্রাহকদের কথা বিবেচনা করে সিটি ব্যাংকের সাথে যৌথ ব্যবস্থাপনায় পরিক্ষামূলক ভাবে ডিজিটাল লোন সেবা চালু করে।প্রায় বছর খানেক ট্রায়াল প্রজেক্ট শেষে ১৫ ডিসেম্বর ২০২১ ডিজিটাল লোন প্রকল্পটি আনুষ্টানিক যাত্রা শুরু করে।
জেনে নিন বিকাশ কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সাথে কিভাবে ফ্রিতে কথা বলতে হয়,
বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার উপায় খুজতে খুজতে অনেকেই হয়রান হয়ে গেছেন। তাই আমরা আজকে এন্ড্রোয়েড বিকাশ application ব্যবহার করে ডিজিটাল লোন পাওয়ার উপায় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
বিকাশের মাধ্যমে সিটি ব্যাংক লিমিটেড বিকাশ গ্রাহকদের জন্য এই ডিজিটাল লোনের ব্যবস্থা করেছে।বিকাশের এন্ড্রোয়েড অ্যাপস ব্যবহার করেই এই ডিজিটাল লোন সেবা গ্রহন করা যাবে।
এজন্য কোন কাগজ পত্র বা জামানতের দরকার হবে না। বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার উপায় খুবই সহজ এবং পুরা প্রক্রিয়াটা গ্রাহকের নিজের হাতের মুঠোই।
লোন পাওয়ার উপযুক্ত হোক বা না হোক এখন সকল বিকাশ অ্যাপস ব্যবহারকারী লোন অপশনটি দেখতে পাবে।এই অপশনটি ব্যবহার করেই গ্রাহক জানতে পারবে যে সে বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার উপযুক্ত কি না।
যদি কেউ বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার উপযুক্ত হয়ে থাকে তাহলে সহজ কয়েকটি ধাপ অনুসরন করে লোন প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে পারবে।
বিকাশ থেকে ডিজিটাল লোনের পরিমান
প্রাথমিক পর্যায়ে কিছু বাছাইকৃত গ্রাহককে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিকাশ থেকে ডিজিটাল লোন দেওয়া হয়।চুড়ান্ত পর্যায়ে গ্রাহক তার বিকাশ থেকে তাৎক্ষণিক ভাবে ৫০০ থেকে ২০ হাজার টাকা লোন কোন প্রকার কাগজপত্র বা জামানত ছাড়াই নিজেই গ্রহন করতে পারবে।
লোনের পরিমান পরবর্তীতে আরোও বেড়ে যাবে।কোন গ্রাহক কত টাকা লোন পাবে এটা নির্ধারিত হবে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গ্রাহকের লেনদেনের অবস্থা পর্যালোচনা করে।
বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার সুবিধা
সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি একটি অনলাইন ভিত্তিক ডিজিটাল লোন তাই বিকাশ লোন পাওয়ার জন্য কোন ব্যাংকে যেতে হবে না বা কোন কাগজপত্র জমা দিতে হবে না।চলুন বিকাশ থেকে লোন নেওয়ার সুবিধা গুলো দেখে নেওয়া যাক,
১। আবেদন করার সাথে সাথেই লোন পাবেন।
২। ৩ মাস মেয়াদী লোন।
৩। কোনো ব্যাংক একাউন্ট বা জামানত লাগবে না।
৪। কোন কাগজ-পত্র লাগবে না।
৫। একাউন্ট ব্যালেন্স থেকেই অটো-কিস্তি পরিশোধের সুবিধা।
৬। ব্যাংক-এর কোন প্রসেসিং ফি নেই।
গ্রাহকের বিকাশ একাউন্টে এই লোনের টাকা জমা হবে।গ্রাহক তার একাউন্ট থেকে সাথে সাথেই টাকা উত্তোলন করতে পারবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী বাৎসরিক ৯% হারে সুদ প্রদান করতে হবে।
কারা পাবে বিকাশ থেকে লোন
আলিবাবা গ্রুপের অ্যাফিলিয়েট ‘‘অ্যান্ট ফিনান্সিয়াল’’ এই প্রকল্পে বিকাশ গ্রাহকদের ক্রেডিট অ্যাসেসমেন্ট করবে।
এতে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তি ব্যবহৃত হবে বলে জানিয়েছে বিকাশ।সুতরাং বিকাশের কোন গ্রাহক এই মুহুর্তে লোন সুবিধা পাবে আর কোন গ্রাহক লোন পাবে না সেটা অ্যাপস ই নির্ধারন করবে।
আপনার বিকাশ এপস এ লগ করে “লোন ” ট্যাবে ক্লিক করে জেনে নিতে পারবেন আপনি লোন পাওয়ার যোগ্য কিনা কিংবা পেলেও কত টাকা পর্যন্ত লোন আপনার জন্য বরাদ্দ আছে।
ঋণ প্রদানের নীতিমালা অনুযায়ী, সিটি ব্যাংক নির্দিষ্ট বিকাশ গ্রাহকদের এই লোন সুবিধা প্রদান করবে। আপনি বিকাশ গ্রাহক হিসেবে সিটি ব্যাংক থেকে লোন পাবেন কি না, তা জানতে বিকাশ অ্যাপের লোন অপশনে যান।
ক্লিক করা মাত্রই আপনি যদি বিকাশ লোনের উপযুক্ত না হোন তাহলে নিচের ছবির মতো দেখতে পাবেন।
বিলাশ এপসের “লোন ” ট্যাবে ক্লিক করে যদি আপনি উপরের ছবির মতো দেখতে পান তাহলে বুঝতে হবে আপনি এখনো লোন পাওয়ার জন্য উপযুক্ত নন।
সেক্ষেত্রে বিকাশ এপসের মাধ্যমে আপনার লেনদেন বাড়াতে হবে এবং ব্যালান্সে পর্যাপ্ত টাকা রাখতে হবে।
লেনদেনের ধরন অনুযায়ী কে কত টাকা লোন পাওয়ার উপযুক্ত এটাও নির্ধারন করবে এই অ্যাপস।
“লোন ” ট্যাবে ক্লিক করে যদি আপনি উপরের ছবির মতো দেখতে পান তাহলে আপনি বিকাশ থেকে লোন পাওয়ার জন্য উপযুক্ত নির্বাচিত হয়েছেন। পাশাপাশি আপনি কত টাকা লোন পেতে পারেন এখানে সেটা নির্ধারণ করা থাকবে।
এবার আপনার জন্য নির্ধারিত লোনের পরিমানের নিচে “লোন নিন ” নামে একটি ট্যাব দেখতে পাবেন।
ইন্টারেস্ট রেট, প্রসেসিং ফি, লোন লিমিট, লোন পরিশোধের নিয়মাবলি, লোন পাওয়ার যোগ্যতা, এবং ক্রেডিট পলিসি নির্ধারণের ক্ষমতা বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী সিটি ব্যাংক কর্তৃক সংরক্ষিত সকল নিয়মাবলী এই ধাপে আপনাকে প্রদর্শন করা হবে।
সম্মতি প্রকাশের মাধ্যমে “এগিয়ে যান ” বাটনে ক্লিক করলে আপনাকে পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবে। যেখানে আপনার লোন পরিশোধের যাবতীয় তথ্যাদি আপনাকে জানানো হবে।
উপরোক্ত নিয়মাবলী মানতে রাজী হলে নিচের “এগিয়ে যান ” নামক লাল বাটনটিতে ক্লিক করুন। পরবর্তী ধাপে আপনার জন্য নির্ধারিত লোনের টাকা আপনার মূল বিকাশ একাউন্টে জমা হয়ে যাবে।
এখান থেকে আপনি ক্যাশ আউট, সেন্ড মানি বা বিকাশ সকল সার্ভিস গুলো ব্যবহার করার জন্য লোনের টাকা ব্যবহার করতে পারবেন।
বিকাশ লোন পরিশোধের নিয়মাবলি
১। লোন অ্যাপ্লাই করার সময় ও লোন পাওয়ার পর ড্যাশবোর্ড-এ গ্রাহক লোন কিস্তির পরিমাণ ও পরিশোধের তারিখ দেখতে পাবেন।
২। গ্রাহক চাইলে লোন পরিশোধের নির্দিষ্ট তারিখে গ্রাহকের Bkash একাউন্ট থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ অটো ডেবিট হিসেবে কেটে নেয়া হবে। অথবা, গ্রাহক চাইলে নির্দিষ্ট দিনের আগে নিজেই লোনের অর্থ পরিশোধ করতে পারেন, যার ফলে ইন্টারেস্টের খরচ কমে আসার সুবিধা পেতে পারেন।
৩। নির্দিষ্ট তারিখে গ্রাহকের বিকাশ একাউন্টে যথাযথ পরিমাণ অর্থ না থাকলে এবং নির্দিষ্ট দিনের আগেই লোনের অর্থ গ্রাহক কর্তৃক পরিশোধ না করা হলে, সেক্ষেত্রে বিলম্ব ফি প্রযোজ্য হবে।
৪। বিলম্ব ফি’র হার লোনের পরিমাণের উপর বাৎসরিক ২%।
ঋণ নেওয়ার পর পরবর্তী তিন মাসে, একই পরিমাণ অর্থ তিন কিস্তিতে গ্রাহকের বিকাশ অ্যাকাউন্ট থেকে নির্ধারিত তারিখে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পরিশোধিত হয়ে যাবে। পরিশোধের তারিখের আগে গ্রাহক এসএমএস এবং অ্যাপের মাধ্যমে এ সংক্রান্ত নোটিফিকেশন পাবেন।
ঋণ গ্রহণকারীগণ ঠিক সময়ে ঋণ পরিশোধ করছে কিনা, তাও পর্যবেক্ষণ করা হবে। পরবর্তী ঋণ প্রদানে এই ব্যাপারটিও বিবেচ্য হবে।
Bkash-city bank ডিজিটাল লোন সম্পর্কে আরোও জানতে বিকাশের ওয়েবপেজ ভিজিট করুন।
পরিশেষে
সিটি ব্যাংক এবং বিকাশের এই ডিজিটাল লোন নিসন্দেহে প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের হাতে ডিজিটাল লোন সেবা পৌঁছে দিতে অগ্রনী ভূমিকা পালন করবে।
যাতে একজন গ্রাহক বিপদের মুহুর্তে জরুরী প্রয়োজনে বিকাশ থেকে লোন নিয়ে প্রয়োজন মেটাতে পারে।