অফপেজ এসইও

অফপেজ এসইও । সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের শেষ ধাপ

অফপেজ এসইও সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন
পূর্বে অনপেজ এসইও এবং টেকনিক্যাল এসইও সম্পর্কে জেনেছি। আজ থাকছে অফপেজ এসইও, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের শেষ ধাপ।
ইতিমধ্যেই আমরা সার্চ ইঞ্জিন কি এবং কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে জেনেছি।তাই আর কথা না বাড়িয়ে সোজা মূল টপিকে চলে যাই।
বাংলায় সম্পুর্ন এসইও সম্পর্কে জানতে দেখুন
এসইও কি? সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের আগাগোড়া
জেনে নিন কিভাবে অনপেজ এসইও করবেন।
টেকনিক্যাল এসইও,সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের ভিত্তি

অফপেজ এসইও কি

যে প্রক্রিয়ায় নিজের ওয়েব সাইটের বাহিরে কাজ করে সাইটের ট্রাফিক বাড়ানো যায় তাকেই অফপেজ এসইও বলে।
এক কথায় অফপেজ এসইও হলো সাইটের প্রচারনা বা মার্কেটিং কৌশল।
কিন্তু নিশ্চিতভাবেই এটি র‍্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর হিসাবে কাজ করে থাকে।যার পরিপূর্ণ ব্যবহার করে সাইটের ভালো র‍্যাংক পাওয়া সম্ভব।
তাই সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের ক্ষেত্রে অফপেজ এসইও খুবই গুরত্বপূরন এবং দীর্ঘ মেয়াদী প্রক্রিয়া।
নিজের সাইটের কন্ট্রোল প্যানেল এবং সার্চ ইঞ্জিনের বাহিরে থেকে অফপেজ এসইও কাজ করা হয়।
কোন জনপ্রিয় সাইটে নিজের সাইটের লিংক শেয়ার করা,সোশাল মিডিয়ায় বুক মারকিং,ডিরেক্টরী সাবমিশন,ইমেইল মার্কেটিং ইত্যাদি অফ পেজ এসইও এর আওতায় পড়ে।
ব্যাকলিংক তৈরি করা এবং রেফার সংগ্রহ করা এর মধ্যে অন্যতম কাজ।যার রেফার যত শক্তিশালী হবে তার র‍্যাংকিং তত ভালো হবে।
অফপেজ এসইও কোন নির্দিষ্ট পেজ নিয়ে নয় বরং পুরো ব্লগ বা ওয়েবসাইটে এর প্রভাব পড়ে।তাই সুনির্দিষ্ট পন্থায় অফ পেজ এসইও করতে পারলে অবশ্যই কাঙ্ক্ষিত ফলাফল পাওয়া যাবে।

কিভাবে অফপেজ এসইও করতে হয়

অফপেজ এসইও এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
১। ব্যাকলিংক তৈরি
২। Q/A ফোরাম পোষ্টিং
৩। সোশাল মিডিয়া এনগেজমেন্ট
৪। ডিরেক্টরী সাবমিশন
৫। ইমেইল মার্কেটিং
এবার আসুন অফপেজ এসইও এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।

১। ব্যাকলিংক তৈরি

ব্যাকলিংক এর মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিন টার্গেট পেজ এবং তার কিওয়ার্ড সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারে।
ব্যাকলিংক থেকে অনেক ভিজিটর পাওয়া যায় এবং ভালো র‍্যাংক পেতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখে।

ব্যাকলিংক কি

নিজের ওয়েবসাইটের সাথে সামজস্যপূর্ণ ওয়েবসাইটে নিজের সাইটের লিংক রেখে আসাকে ব্যাকলিংক বলে।এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মার্কেটিং কৌশল।
আরোও সহজ করে বললে,অন্য একটা সাইটে আপনার সাইট বা কোন পোষ্টের এক্সটারনাল লিংকিং করাটাই হচ্ছে আপনার সাইটের ব্যাকলিংক।এক অর্থ ব্যাক লিংক মানে হচ্ছে রেফার করা।
একটা সাইটের যত বেশী ব্যাক লিংক থাকবে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে সেই সাইটের বিশ্বস্ততা তত বেশী হবে অর্থ সেই পরিমান সাইট আপনার সাইটকে রেফার করেছে এটাই আপনার ব্যাকলিংকের কার্যকারিতা।
তবে, রিলেভেন্ট ব্যাকলিংক হওয়া বাহ্ননীয় তথাপি কিছু ক্ষেত্রে ইরিলেভেন্ট ব্যাকলিংক করতে হয়।যেমন,সোশাল ব্যাকলিংক,লোকাল সাইটেশন,ওয়েবসাইট লিষ্টিং ইত্যাদি।
ধরুন,আপনার সাইট বিজ্ঞান সম্পর্কীয় কিন্তু আপনি ভুগোল সম্পর্কিত সাইটে ব্যাকলিংক করলেন ,তাতে কিন্তু হিতে বিপরীত হওয়ার চান্স থাকে।
এসইও তে ব্যাকলিংক এর ভুমিকা খুবই গুরুত্বপূরন।এটি সার্চ ইঞ্জিনের কাছে বড় একটা র‍্যাঙ্কিং ফ্যাক্টর।সেজন্যেই ব্যাকলিংক করার আগে অবশ্যই সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা অনুযায়ী ভেবে চিন্তে শুরু করা উচিত।
বিশেষ করে কোয়ালিটি ব্যাকলিংক, কিওয়ার্ড রেশিও,এঙ্কর রেশিও অনুযায়ী ব্যবহার করার ব্যাপারে সর্তক থাকতে হবে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন

ব্যাকলিংক কত প্রকার

সাধারনত কার্যকারিতার দিক থেকে ব্যাকলিংক ২ প্রকার।
১) ডু ফলো ব্যাকলিংক
২) নো ফলো ব্যাকলিংক

১) ডু ফলো ব্যাকলিংক

এই ধরনের লিংক এক পেজ থেকে অন্য পেজ কে অথরিটি দিয়ে থাকে।এই অথরিটি আবার লিংক জুস পাস করে থাকে।
অর্থাৎ এই ধরনের এক্সটারনাল লিংক করার সময় ক্রোলারকে লিংকটি ক্রল করার অনুমতি দেওয়া।যাতে সে সহজেই লিংকটি ক্রল করতে পারে।

২) নো ফলো ব্যাকলিংক

এই ধরনের লিংক কোন অথরিটি দেয় না এবং কোন লিংক জুস পাস করে না।সরাসরি ক্রোলারকে লিংকটি ক্রল না করার নির্দেশনা দিয়ে রাখা। যাতে ক্রোলার লিংকটি ক্রল না করে।
এছাড়াও সার্চ ইঞ্জিন সমূহ বিভিন্ন দৃষ্টি ভঙ্গি থেকে রেফারিং ডোমেইনের কোয়ালিটি বিবেচনা করে থাকে।যেমনঃ ডোমেইন অথরিটি (DA),পেজ অথরিটি (PA),লিংক প্রোফাইল ম্যাটিক্স (PF,CF) ইত্যাদি।
যেসব সাইটে ব্যাকলিংক রেখে আসতে আসতে চান সে সাইটগুলি সম্পর্কে আগে জেনে নিতে হবে।
অন্তত আপনার সাইটের থেকে যেন সেই সাইট গুলোর ডিএ কম না হয়।
সম্ভব হলে ৩০ এর অধিক ডিএ সম্পন্ন সাইটে আপনার সাইটের ব্যাকলিংক তৈরি করা ভালো।
যেকোন সাইটের ডিএ/পিএ জানার জন্য DA/PA Checker টুলসটি ব্যবহার করতে পারেন।
সুতরাং যেসব সাইটের ডোমেইন অথরিটি এবং পেজ অথরিটি বেশী সেসব সাইটে আপনার সাইটের লিংক রাখতে পারলে অতি অবশ্যই আপনার সাইটের ডিএ/পিএ বেড়ে যাবে এবং সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ভালো র‍্যাংক পাওয়া সম্ভব হবে।

ব্যাক লিংক তৈরির উপায়

আগেই বলেছি অফপেজ এসইও এর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে লিংক বিল্ডিং।যেকোন সাইটে লিংক দেওয়ার পূর্বে একটা বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতেই হবে।
যে সাইটে লিংক দিচ্ছেন সেটার ডিএ/পিএ যেন আপনার সাইটের চেয়ে বেশী হয় আর আপনার সাইটের বিষয়বস্তুর সাথে সামজস্য পূর্ণ হয়।
এবার আমরা ব্যাকলিংক তৈরি করার উপায় সমূহ জানবো।

১) গাষ্ট পোষ্টিং

জনপ্রিয় ব্লগ সমূহে গাষ্ট পোষ্টিং এর সুযোগ থাকে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে আপনি সেই ব্লগের জন্য একটি পোষ্ট করলেন।
সেই পোষ্টের কোন এক ফাঁকে প্রসঙ্গ ক্রমে আপনার একটা ব্লগ পোষ্টের লিংক দিয়ে দিলেন। মানসম্মত তথ্যবহুল লেখা হলে আপনার একটি লিংকসহ পোষ্টটি পাবলিশ হওয়ার সুযোগ থাকে।
যা থেকে আপনি নিজের সাইটের একটি ব্যাকলিংক পেয়ে যেতে পারেন। ভাল মানের ওয়েবসাইট থেকে সহজে ব্যাকলিংক পাওয়ার এটাই সহজ ও অন্যতম উপায়।

২) Q/A ফোরাম পোষ্টিং

অনলাইনে বিপুল সংখ্যাক ফোরাম থাকে। যেগুলো বিভিন্ন মানুষের রিয়েল লাইভ সমস্যা গুলো নিয়ে আলোচনা হয় এবং সমাধান গুলো বের হয়ে আসে।
অনেক ভালমানের Q/A ফোরাম সাইট আছে যেগুলোর ডিএ/পিএ অনেক ভাল।এগুলো থেকে পাওয়া ব্যাকলিংক আপনার সাইটের র‍্যাংকিং বাড়াতে সাহায্যে করবে।
এধরনের সাইটে আপনাকে শুধু আপনার সাইট রিলেটেড সমস্যা গুলো খুজে বের করতে হবে।
তারপর আপনি সেই সমস্যার প্রাসঙ্গিক উত্তর দিলেন যার সাথে সংশ্লিট পোষ্টের লিংকটিও দিয়ে দিলেন।
এভাবে একটি ভাল মানের ব্যাকলিংক তো পাওয়া যাবেই পাশাপাশি কিছু ভিজিটরসও পাওয়া সম্ভব।

৩) ব্লগ কমেন্টিং

আপনার সাইটের চেয়ে ভালো মানের এবং একই ধরনের ক্যাটাগরির ব্লগ সাইটের বিভিন্ন পোষ্টের কমেন্ট বক্সে সুন্দর একটা মন্তব্য লিখে তারসাথে আপনার ব্লগের একটি প্রাসঙ্গিক পোষ্টের লিংক জুড়ে দিলেন।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের কারনে এডমিন আপনার কমেন্টটি এপ্রুভ করবে। যার থেকে আপনি একটা ভাল মানের ব্যাকলিংক পেয়ে গেলেন।
খেয়াল রাখতে হবে,যে ব্লগের পোষ্টে কমেন্ট করবেন তার ডিএ/পিএ যেন আপনার সাইটের চেয়ে বেশী হয় এবং যে পোষ্টে কমেন্ট করবেন সেটি যেন আপনার শেয়ার করা পোষ্টের সাথে সামজস্য পূর্ণ হয়।

৪) ব্রোকেন লিংক বিল্ডিং

ধরুন,আপনার ব্লগের একটি পোষ্টে অন্য একটা সাইটের লিংক রেফার করেছিলেন কিন্তু কোন কারনে আপনার রেফার করা লিংকটি বর্তমানে অকেজো হয়ে আছে।
এটাই আপনার সাইটের জন্য ব্রোকেন লিংক।
সাইটে এরকম ব্রোকেন লিংকের সংখ্যা বেশী হলে তা সাইটের র‍্যাংকিয়ে বাজে প্রভাব ফেলে থাকে।
জ্ঞাত সারে কোন সাইট এডমিন চাইবে না যে তার পোষ্টে ব্রোকেন লিংক থাকুক।
সুতরাং যদি কোন ব্যাক্তি আপনার সাইটে থাকা এমন ক্ষতিকর ব্রোকেন লিংক ধরিয়ে দেয় পরিবর্তে তার একটি লিংক সেখানে বসিয়ে দিতে চায় তো আপনার আপত্তি থাকার কথা নয়।
ঠিক একই প্রক্রিয়ায় আপনি আপনার সাইটের সাথে সামজস্য পূর্ণ অন্য সাইটের ব্রোকেন লিংক খুজে বের করলেন এবং তা এডমিন কে জানিয়ে দিয়ে সেই জায়গায় আপনার লিংক দিতে অফার করলেন।
যদি সে রাজি হয়ে যায় তো সহজেই সামান্য উপকারের ছলে একটি ব্যাকলিংক পেয়ে যেতে পারেন।

৫) সোশাল প্রোফাইল

যেহেতু জনপ্রিয় সোশাল সাইট গুলোর ডিএ/পিএ অনেক ভাল মানের হয়ে থাকে,সেহেতু সেখান থেকে পাওয়া একটা ব্যাকলিংক আপনার সাইটের জন্য সহায়ক ভুমিকা রাখবে।
প্রায় প্রত্যেক সোশাল মিডিয়ায় পেজ তৈরি করলে সেখানে ওয়েবসাইট এর লিংক দেওয়ার একটা বক্স থাকেই।
সেখানে আপনার সাইটের লিংক দিয়ে সহজেই একটি ব্যাকলিংক পেয়ে যেতে পারেন।

৬) ইনবাউন্ড/আউটবাউন্ড লিংকিং

যখন আপনি আপনার ব্লগের জন্য কোন পোষ্ট লিখবেন তখন সেই পোষ্টে আপনার পূর্বে প্রকাশিত পোষ্ট গুলোর লিংক দিয়ে দিতে পারেন এটাই হলো ইন্টারনাল লিংকিং বা ইনবাউন্ড লিংকিং।
সঠিকভাবে ইনবাউন্ড লিংক করতে পারলে আপনি অনেক সুবিধা পাবেন।বিশেষ করে এতে আপনার ভিজিটরস এনগেজ থাকবে।
এক পোষ্ট পড়তে এসে আরেক পোষ্টে গেলে তা আপনার সাইটের বাউন্স রেটে ভাল প্রভাব রাখবে।
তাছাড়া এভাবে এক পোষ্ট থেকে আরেক পোষ্টে ভিজিটর এনগেজ হলে আপনার সাইটের পেজ ভিউ বাড়বে।এটিও অফপেজ এসইও এর একটা অংশ।
একইভাবে আপনার পোষ্টে যখন অন্য কোন সাইটের লিংক রেফার করবেন তখন সেটা হবে এক্সটারনাল বা আউটবন্ড লিংকিং।
আপনার পোষ্টে এক্সটারনাল লিংক দেখে তা থেকে সার্চ ইঞ্জিনের আপনার সাইটের প্রতি একটা পজিটিভ ধারনা জম্মাবে।
অন্তত সে এটা বুঝে যাবে যে আপনি পোষ্টটি লিখতে অবশ্যই কিছু রিসারচ করেছেন।যার ফলে রেফার লিংক গুলো এসেছে।

৭) ওয়েব ডিরেক্টরী সাবমিশন

অনেক ভাল মানের ডিএ/পিএ সম্পন্ন ওয়েব ডিরেক্টিরী আছে।যেগুলোতে তালিকাভুক্ত হওয়ার মাধ্যেম আপনি একটা ভালমানের ব্যাকলিংক পেয়ে যেতে পারেন।

৮) বায়িং ব্যাকলিংক কি

এটাকে পেইড ব্যাকলিংক বলা হয়ে থাকে। বুঝতেই পারছেন,ব্যাকলিংক টাকা দিয়ে কিনেও পাওয়া যায়।তবে,এটা সার্চ ইঞ্জিনের দৃষ্টিতে ভালো কাজ নয়।

২। Q/A ফোরাম পোষ্টিং

ওয়েব দুনিয়ায় অনেক Question & Answer ওয়েবসাইট আছে।এর মধ্যে জনপ্রিয় একটি হলো কোয়ারা অন্যতম।আবার এর ডোমেইন অথরিটি অনেক ভালো।
এরকম সাইটে মানুষ জানার জন্য বিভিন্ন প্রশ্ন করে থাকে।অভিজ্ঞ রা সেগুলোর সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করে থাকে।আপনাকে শুধু আপনার পোষ্টের বিষয়বস্তুর সাথে মিলে যায় এমন প্রশ্ন গুলো খুজে বের করতে হবে।
তারপর সেই প্রশ্নগুলির উত্তরে আপনার পোষ্টের লিংকটি দিয়ে দিলেন।এই লিংক থেকে আপনার সাইটে ভিজিটরস রা তো আসবেই তাছাড়াও এখান থেকে আপনি একটি ভালো ব্যাকলিংকও পেয়ে গেলেন।

৩। সোশাল মিডিয়া এনগেজমেন্ট

পৃথিবীর প্রায় অর্ধেক মানুষ কোন না কোন সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে থাকে বলে জানা যায়।এই সুযোগকে কাজে লাগাতে সোশাল মিডিয়ায় উপস্থিতি থাকা টা জরুরী।
শুধু তাই নয়,আপনার সাইটের ভিজিটরদের অন্যতম উৎস হলো সোশাল মিডিয়া।তাই সোশাল মিডিয়ায় আপনার সাইটের নামে পেজ থাকা আবশ্যক।
যাতে আপনার কনটেন্ট বা পোষ্ট গুলো সোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করে সেখান থেকে ভিজিটরস আনতে পারেন।অফপেজ এসইও এর ক্ষেত্রে সোশাল মিডিয়ার ট্রাফিক আপনার সাইট র‍্যাংকিং এর ক্ষেত্রে ব্যাপক ভুমিকা রাখবে।
এক্ষেত্রে ইউটিউব ব্যবহার করা যেতে পারে।যেকোন প্রোডাক্ট,সার্ভিস বা কনটেন্ট ব্র্যান্ডিং,প্রমোশন বা মার্কেটিং এর জন্য ইউটিউব সেরা মাধ্যম হতে পারে।
সাইটের নামে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলে তাতে আপনার সাইট সংক্রান্ত কনটেন্ট বানিয়ে আপলোড করুন।তাতে আপনার সাইটের রেপুটেশন বাড়তে থাকবে।
এখান থেকে আপনি যেমন সাইটের ভিজিটরস পাবেন তেমনি ভিডিও আপলোড করার সময় ডেসক্রিপশনে আপনার সাইটের লিংক দিয়ে একটা ভালো ব্যাকলিংকও পেয়ে যাবেন।

৪। ডিরেক্টরী সাবমিশন

জনপ্রিয় অনেক ওয়েব ডিরেক্টরী আছে যেগুলোতে বিভিন্ন ওয়েবসাইট সম্পর্কিত তথ্যগুলো সাজানো থাকে।এরকম ডিরেক্টরী গুলো তে প্রয়োজনীয় তথ্য সহ আপনার ওয়েবসাইট সাবমিট করে রাখুন।
ভিজিটরস এর পাশাপাশি এখান থেকে একটা ব্যাকলিংকও পেয়ে যাবেন।

৫। ইমেইল মার্কেটিং

অনেক কোম্পানী আছে যারা পেইড ইমেইল মার্কেটিং করে দেয়।এজন্য আপনি আপনার সাইটে ইমেল সাবস্কাইবার সিস্টেম রাখতে পারেন।
যাতে আপনার পাঠকরা সাবস্কাইব করে রাখতে পারে,আর আপনার প্রতিটি পোষ্টের আপডেট পেতে থাকবে।

শেষকথা

অফ পেজ এসইও, সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশনের শেষ ধাপ এখানেই সমাপ্ত হলো।পোষ্টের বিষয়বস্তুর ব্যাপারে কোন জিজ্ঞাসা থাকলে অবশ্যই কমেন্ট বক্সে জানাবেন।