তোমার কৃষ্ণ চুল, হলদে ওড়না,কপালের মাঝে ফুটে থাকা টিপ,ঠোঁটে গাঢ় রক্তাভ লিপস্টিক ক্রমশ আমায় মাতাল করে ছাড়ছে-
এই কী মাদকতা?
তুমি বললে,পাগল হয়েছো?
আমি বললাম,পাগল ছাড়া কী দুনিয়া চলে?
তুমি মৃদু হেসে- আমার ঠোঁট রাঙিয়ে দিলে।
হঠাৎ মা চেচিয়ে বললেন, নির্ঝর বেলা ক’টা বাজে দেখেছিস?
বোনের টর্নেডো কণ্ঠে শুনলাম, ঢের সিগারেট পুড়িয়েছে মা!
মা বললেন,ওহ কী উৎকট গন্ধ!
বাবা এসে দেখলেন,নির্ঝর মিসির আলি সমগ্রের স্তূপ করে কালো ফ্রেমের দগদগে চশমাটা “দেবী” উপন্যাসের উপর রেখেছে।ভ্রু কুঞ্চিত করে নির্ঝরের বাবা আবুল মনসুর ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন, এই হারামজাদা আজকাল সিগ্রেট খাওয়া ধরেছিস না কি!
নির্ঝরের মা জোহরা বেগম জলোচ্ছ্বাসের মতো ফুঁসে উঠে বললেন,বাপ কা ব্যাটা!
নির্ঝর কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে ছিল।এরপর কণ্ঠগ্রাম থেকে ধ্বনিত হলো